সকল মেনু

হাজার শিক্ষার্থী মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে পারছে না

Exif_JPEG_420

যশোর প্রতিনিধি: জলাবদ্ধতার কারণে যশোরের ভবদহ অঞ্চলে তিন উপজেলার ১৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে পারছে না। সমাপনী পরীক্ষার আগে প্রস্ততিমূলক টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় তাদের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী বলেছেন, পানি সরে গেলে সুবিধামতো সময়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, দ্রুত জলাবদ্ধতার অবসান হবে, অবার সেখানে শিক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসন্মত পরিবেশ ফিরবে এ নিশ্চয়তা তাকে কে দিয়েছে-?
টানা বর্ষণের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যশোরের মণিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলার তিন শতাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাাসায় পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলোতে ৫ হাজার ১৮০ জনের বেশি সমাপনী পরীক্ষার্থী রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, গত ২৮ আগস্ট থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের মডেল টেস্ট শুরু হয়েছে। জেলার অন্য উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও তিনটি উপজেলায় হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলায় তিন উপজেলার ১৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে মণিরামপুরে ৫০টি, কেশবপুরে ৭৫টি ও অভয়নগরে ২৩টি রয়েছে। এই সব বিদ্যালয়ের পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় শুরু হওয়া মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না তারা। আগামী নভেম্বর মাসে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা শিক্ষক ও অভিভাবকদের। তারপরও বিকল্প উপায়ে পরীক্ষা গ্রহণের চিন্তা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস রায় জানান, কেশবপুর পৌর ও ইউনিয়নের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। বাকি বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এজন্য ক্লাস কিংবা পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অভিভাবকরা জানান, জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। স্কুলগুলোও বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নভেম্বর মাসে। পানিও কবে সরবে তা বোঝা যাচ্ছে না। পড়াশুনার প্রস্তুতিতে পিছিয়ে পড়ছে ছেলে-মেয়েরা। অবিলম্বে পানি নিষ্কাশন না হলে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে শঙ্কিত অনেক অভিভাবক।
জানতে চাইলে যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী বলেন, জলাবদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেখানে পরীক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নেই। এজন্য মডেল টেস্ট পরীক্ষায় তিন উপজেলার ১৪৮টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারছে না। তবে পানি সরে গেলে সুবিধামতো সময়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মডেল টেস্ট পরীক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা নিলে কোনো অসুবিধা হবে না।
ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকায় তীব্র পয়ঃনিষ্কাশন  সংকট

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top