সকল মেনু

কামারশালাগুলো এখন টুংটাং শব্দে মুখর

unnamedযশোর থেকে আব্দুল ওয়াহাব মুকুল : সামনেই ঈদুল আজহা, এ জন্য যশোরের গ্রামগঞ্জের পেশাদার কামারদের কামারশালাগুলো এখন দা, চাপট, চাকু, ছোরা ও বটির তৈরীর টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে। কামাররা ব্যবসার ব্যস্ত সময় পার করছে। কোরবানীর কাজে ব্যবহারের জন্য দা, চাপট, চাকু, ছোরা ও বটির এখন ভীষণ চাহিদা। ফলে রাতদিন কাজ চলছে এখন কামারশালাগুলোতে।
যশোরের হাট-বাজারগুলোতেও কোরবানীর সরঞ্জাম বিক্রির নতুন নতুন দোকান বসতে শুরু করেছে। এমনকি শহরের রাস্তার ধারেও বসেছে দোকান। ক্রেতারাও প্রয়োজন মত দেখে শুনে কিনছে তাদের কোরবানীর সরঞ্জাম। এদিকে ঈদে দা, চাপট, বটি, ছোরা, চাকুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরীর সরঞ্জাম কাঁচা লোহার দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা। ফলে স্থানীয় বিভিন্ন মোকাম থেকে কামারদের বেশী দামে কিনতে হচ্ছে কাঁচা লোহা। এতে এসব সরঞ্জাম তৈরীর উৎপাদন ব্যয়ও অনেক বেড়ে গেছে। এজন্য সংগত কারণেই ক্রেতারা বেশী দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে কোরবানী ঈদের অতি প্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জাম।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানির জন্য ব্যবহৃত একটি চাপট ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা, ছোরা ৩৫০ থেকে ৪’শ টাকা, বিভিন্ন সাইজের চাকু ৩০ থেকে ১’শ টাকা, বটি ১’শ থেকে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগে দাম আরও বাড়বে বলে কামাররা জানায়।
যশোর শহরের জেলা স্কুলের সামনে, রেল বাজার, কাশারী পট্ট্রি, পালবাড়ী মোড়সহ শহরতলী ও বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম্য বাজারগুলোতে রাস্তার ধারে দোকান দিয়ে কোরবানীর কাজে ব্যবহৃত এসব সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে। কামাররা জানায়, এখন অল্প স্বল্প বেচাকেনা শুরু হলেও ঈদের তিনদিন আগে থেকেই বিক্রি আরও দশ গুণ বেড়ে যাবে। সাধারণত এই কোরবানীর মৌসুমে কামাররা তাদের কামারশালায় তৈরি এসব সরঞ্জাম বিভিন্ন শহর ও গ্রাম্য বাজারে বিক্রি করে যায়। যা বিশেষ করে হাটবারের দিন সহজে কিনতে পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top