আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নীলফামারীর ডোমার থানা থেকে ওবায়দুলকে সঙ্গে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে পুলিশের একটি দল।
পুলিশের এই দলের নেতৃত্বে আছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। রওনা হওয়ার আগে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওবায়দুলকে ঢাকায় নেওয়ার পর রিসা হত্যা মামলায় আদালতে তোলা হবে।
এক ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান বলেন, ডিএমপি, স্থানীয় পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে আজ সকালে ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করে।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ রাজিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, ওবায়দুলকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা গেছে।
মারুফ হোসেন বলেন, রিসাকে ছুরিকাঘাত করার পর ওবায়দুল দিনাজপুরে পালিয়ে যান। সেখানে পুলিশ হানা দেওয়ার আগেই তিনি সরে পড়েন। এরপর যান ঠাকুরগাঁও। সেখান থেকে নীলফামারীতে যান।
গত বুধবার পরীক্ষা শেষে স্কুলের সামনের পদচারী-সেতু দিয়ে সড়কের ওপারে যাওয়ার সময় এক বখাটে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিসাকে ছুরিকাঘাত করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার সে মারা যায়। এ ঘটনায় তার মা তানিয়া হোসেন রমনা থানায় এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দরজির দোকানের কর্মী ওবায়দুলকে আসামি করে মামলা করেন।
ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।