সকল মেনু

জেলা পরিষদ নির্বাচন এ বছরই: এলজিআরডি মন্ত্রী

4442_467 নিজস্ব প্রতিবেদক: এ বছরেই জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবাযমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই জেলা পরিষদগুলোতে ওয়ার্ড নির্ধারণ, গেজেট নোটিফিকেশন এবং শুনানি শেষ হয়ে যাবে। এরপরই আমরা নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে চিঠি দেব। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। তবে আমরা যতটুকু জেনেছি ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধিমালা তিরি করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচটি স্তরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ স্তরে নির্বাচন হয়ে গেছে। শুধু জেলা পরিষদ নির্বাচন বাকি। সেটিও আমরা আয়োজন করতে যাচ্ছি। তবে এজন্য কিছু আনুষ্ঠানিকতার দরকার আছে। প্র্রত্যেক জেলা পরিষদকে ১৫টি ওয়ার্ডে সমানভাবে ভাগ করা, গেজেট নোটিফিকেশন ও শুনানি করা। ইতোমধ্যে এসব কাজের অগ্রগতি হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এসব কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা স্থানীয় নির্বাচনগুলোকে দলীয় প্রতীকে করার ব্যবস্থা করেছি। এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তারাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আছে, সেভাবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা পরিষদ প্রশাসকের মধ্যে দ্বন্দ্ব হবে কি না জানতে চাইলে খন্দকার মোশররফ বলেন, ‘দ্বন্দ্ব হবে এটাই তো নিয়ম। মতবিরোধ, মতনৈক্য থাকলেই উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়। দ্বন্দ্ব না থাকলেই বরং চিন্তিত থাকি।’

যে রাজ্যে ফেরেশতা এবং শয়তান শাসন করে সেখানেই মতবিরাধ থাকে না বলে মন্তব্য করেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top