সকল মেনু

এবার নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিদের আশ্রয় দাতা বাড়ির মালিক গ্রেপ্তার

4387_images নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি :  নারায়ণগঞ্জে মাস্টার মাইন্ড তামিম চৌধুরী ও তার দুই সহযোগী নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন জঙ্গির নাম উল্লেখ করে আরো কয়েক জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে জঙ্গি আস্তানার ভাড়াটিয়ার তথ্য পুলিশের কাছে গোপন করার অভিযোগ এনে  বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ানের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে অবস্থানরত বিদেশীদের উপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে জঙ্গীরা নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছিলো বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার। নারায়নগঞ্জ এর পুলিশ সুপার মঈনুল হক রোববার বেলা এগারোটায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এসময় তিনি জানান,  নারায়নগঞ্জের  নিহত জঙ্গীরা পাইকপাড়ার ঐ বাড়িতে  অবস্থান করছিলো ২ জুলাই থেকে। এদিকে গতকাল প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি নিহত তিন জঙ্গীর ময়না তদন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ ছিলেন এই টিমের প্রধান তিনি গড়কাল দুপুরে ময়না তদন্তের প্রাথমিক বিষয় গুলো সাংবাদিকদের জানান।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন। আজ রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে নিহত তিন জঙ্গিকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। এদিকে নারায়নগঞ্জে  তিন জঙ্গী নিহত হওয়ার ঘটনায় সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেছেন, গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত ১০জনের মধ্যে বাড়িওয়ালা নুরুউদ্দিন দেওয়ানকে গ্রেফতার দেখিয়ে বাকি ৯জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।  নারায়নগঞ্জের  নিহত জঙ্গীরা পাইকপাড়ার ঐ বাড়িতে  অবস্থান করছিলো ২ জুলাই থেকে। তারা মুলতঃ শিল্পনগরী নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশীদের উপর হামলা করার পরিকল্পনার টার্গেট নিয়ে এখানে অবস্থান করছিল। নিহতরা একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরী করার কথা বলে এ বাসাটি বাড়া নিয়েছিলো। বাড়িতে যেকোন লোক এলে তাদের সম্পর্কে তথ্য দেয়া বাড়িওয়ালার কাজ। কিন্তু বাড়িওয়ালা তা না করে তথ্য গোপন করেছেন। তিনি জানান, বাড়িওয়ালা তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলে তারা একটি পরিচয়পত্রের ফটোকপি বাড়িওয়ালাকে দিয়েছিলেন। বাড়িওয়ালার কাছ থেকে এটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট নিয়ে গেছে যাচাই করতে। তিনি জানান, যারা মারা গেছে তাদের পরিচয় এখনো আমরা নিশ্চিত না। এদের সাথে অন্য কেউ ছিলো কিনা কেউ পালিয়ে গেছে কিনা সে সম্পর্কে জেলা পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই। এটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বলতে পারবে। তিনি জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সোহেল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সে একজন শিবিরকর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া এক বাড়ির ভাড়াটিয়া জনান, তাদের পুলিশ জঙ্গী ও ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ভোরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে আজ সকালেও উৎসুক জনসাধারন পাইকপাড়ার সেই বাড়ির সামনে ভীড় জমায়।তারা অনেকেই এ বাড়িতে দেশের আলোচিত জঙ্গী হামলার মাষ্টার মাইন্ড তামিম চৌধুরীর মতো শীর্ষ জঙ্গীর অবস্থান নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপারের ব্রিফিং:    নারায়ণগঞ্জে অবস্থানরত বিদেশীদের উপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে জঙ্গীরা নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছিলো বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার। নারায়নগঞ্জ এর পুলিশ সুপার মঈনুল হক রোববার বেলা এগারোটায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এসময় তিনি জানান,  নারায়নগঞ্জের  নিহত জঙ্গীরা পাইকপাড়ার ঐ বাড়িতে  অবস্থান করছিলো ২ জুলাই থেকে। তারা মুলতঃ শিল্পনগরী নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশীদের উপর হামলা করার পরিকল্পনার টার্গেট নিয়ে এখানে অবস্থান করছিল। নিহতরা একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরী করার কথা বলে এ বাসাটি বাড়া নিয়েছিলো। ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার মোট বারোজনকে পুলিশ থানায় আনলেও এগারোজনকে রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুধু বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ানকে তথ্য গোপনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়িতে যেকোন লোক এলে তাদের সম্পর্কে তথ্য দেয়া বাড়িওয়ালার কাজ। কিন্তু বাড়িওয়ালা তা না করে তথ্য গোপন করেছেন। তিনি জানান, বাড়িওয়ালা তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলে তারা একটি পরিচয়পত্রের ফটোকপি বাড়িওয়ালাকে দিয়েছিলেন। বাড়িওয়ালার কাছ থেকে এটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট নিয়ে গেছে যাচাই করতে। তিনি জানান, যারা মারা গেছে তাদের পরিচয় এখনো আমরা নিশ্চিত না। এদের সাথে অন্য কেউ ছিলো কিনা কেউ পালিয়ে গেছে কিনা সে সম্পর্কে জেলা পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই। এটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বলতে পারবে। তিনি জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সোহেল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সে একজন শিবিরকর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই তিন জঙ্গির ময়নাতদন্ত শুরু করে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে শেষ করা হয়। ঢামেক মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সোহেল মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তে নিহত জঙ্গিদের মাথায় বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহত জঙ্গি তামিম ছাড়া অপর দুই জঙ্গির শরীরে বোমা ব্লাস্টের চিহ্ন পাওয়া গেছে।তিন জঙ্গির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য থাই, মাসল ও চুল সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা শক্তিবর্ধক ওষুধ বা মাদক সেবন করেছিলেন কি না, তা জানার জন্য রক্ত ও ইউরিন সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোহেল মাহমুদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নিহতদের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা এফবিআইয়ের কাছে পাঠানো হতে পারে। তাই আলাদাভাবেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর আগে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত তিন জঙ্গির লাশ ঢামেকের মর্গের মরচ্যুয়ারিতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিহত তিন জঙ্গির লাশ ঢামেকে নেয়া হয়। প্রাথমিক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জে তাদের ময়নাতদন্ত  করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছিল। কিন্তু পরে ঢাকায় তাদের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top