সকল মেনু

চিরিরবন্দরে স্বল্প পুজিঁতে কুরবানীর পশুর চাহিদা মিটিয়ে ”এখন রাজধানীতে

unnamedমোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:  আর মাত্র ক”দিন পর ঈদুল আযাহা (কুরবানীর ঈদ) তাই গরু মোটাতাজাকরন প্রক্রিয়া করন ডেইরী ফার্ম গুলো ব্যস্ত সময় পার করছে । দিনাজপুরের চিরিরবন্দর  উপজেলায় শতাধিক ডেইরী ফার্ম রয়েছে । এই ডেইরী ফার্ম গুলোতে  ষাঁড় মোটাতাজাকরন  ও গাভী পালন করা হয় । কুরবানীর ঈদকে লক্ষ রেখে হোল্ডিং বাড়ী গুলোতেও  গরু মোটাতাজাকরন করা হয় । উপজেলার কুরবানীর পশুর চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কুরবানীর পশুর চাহিদা মিটিয়ে আসছে গো খামারীরা  । অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ষ্াঁড় মোটাতাজাকরন লাভজনক হওয়ায় অনেক বেকার যুবক ডেইরী ফার্মেও পাশাপাশি হোল্ডিং বাড়ীতে এই গরু পালন করছে । একদিকে  যেমন নিজের বেকারত্ব দুর হচ্ছে অন্য দিকে দেশীয় আমিষের চাহিদা পুরন হচ্ছে । উন্নত জাতের গরুর পালনের পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির গরুর মোটাতাজাকরন করা হচ্ছে । কাচা ঘাস, চপর, বুসি, আকারী ,খুদি চালের ভাত, ফিট , ভুট্টার গুড়া ,শুকনো খড়সহ ভিটামিন , মিনারেল এবং শর্করা জাতীয় খাবার সরবারাহ করা হয় ।

এদিকে বাজার থেকে  ছোট  আকারের ষাঁড় ক্রয় করে আনার পর লিভারমিজল, ট্রাইক্ল্যাবেন্ডাজল, এলবেন্ডাজল, ফেনবেন্ডাজল, নাইটসিনিল গ্রুপের কৃমিনাশক ঔষধ ব্যবহার করা হয় । এরপর নিয়মিত গো খাবার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নিয়মিত গোসল করার  চার থেকে ছয় মাস পালন করার পর গরুর মোটাতাজাকরন হয়ে যায় । বিভিন্ন ফার্মে গরুর ক্রেতারা তাদের ইচ্ছামত গরু দেখে গরু ক্রয় করতে পারে । এ ছাড়াও হোল্ডিং বাড়ীতে ক্রেতারা গিয়ে গরুর ক্রয় করে নতুবা পার্শ¦বর্তী হাটে গরুও বেচাকেনা করা হয় । উপজেলার পশু সম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় পশু চিকিৎসকেরা  গরুর খামারীদের খামারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় এই এলাকায় গরু মোটাতাজাকরন গো খামারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।ঈদূল আযাহা কে সামনে রেখে গো মোটাতাজাকরন খামারের শ্রমিকের ব্যস্ত সময় পার করছে । গরু পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাজার রাখাসহ সুষম খাবার সরবরাহ করছে শ্রমিকেরা ।

গরুর ব্যবসায়ীরা  ডেইরী ফার্ম থেকে গরু ক্রয় করে বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে যায় । সেই সাথে পশু চিকিৎক দ্বারা গরু পরীক্ষা করে সুস্থ ,সবল ,গরু সরবরাহ করার চেষ্টা করে ব্যবসায়ীরা ।  কুরবানী উপলক্ষে ৪ থেকে ৬ মাস আগে থেকে গরু মোটাতাজাকরন প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয় । এরপর কুরবানীর ৪/৫ দিন আগ থেকে বিক্রি করে দেওয়া হয় । হোল্ডিং বাড়ীতে গরুর  মোটাতাজাকরন কাজে বাড়ীর সকল সদস্যরা সহযোগিতা করে থাকে । এখানেও ৪/৫ মাস আগে ষাড় জাতীয় ছোট আকৃতির গরু ক্রয় বাড়ীতে আনার পর পালন করে । কুরবানীর ঈদের আগে বাড়ী থেকেও গরু বিক্রি হয়ে যায় ।

unnamed

উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার  জানান, উপজেলা পশু সম্পদ  কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় গরু মোটাতাজাকরন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার গরু মোটাতাজাকরন করা হয়েছে ।  এই উপজেলায় কুরবানীর পশুর চাহিদা পুরন করেও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কুরবানীর পশু সরবরাহ করছে ।  শুধুমাত্র সুষম গো খাবার সরবরাহ করে এই অঞ্চলের গরু মোটাতাজাকরন  করার কারনে কুরবানীর পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । সেই সাথে স্বল্প পুজিঁতে হোল্ডিং বাড়ীতে গরু মোটাতাজাকরন করে নিজেরদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে অনেক বেকার যুবক ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top