সকল মেনু

পাল্টিয়ে গেলো হ্যাপির সুর

 

পাল্টিয়ে গেল শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহানের বিরুদ্ধে করা মামলার সুর। নির্যাতিতা গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি এবার কথা বললেন শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে।

গৃহকর্মী মাহফুজা আজ আদালতকে বলে, ‘আমি ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় কাজ করতাম। সাত মাস কাজ করেছিলাম। কাজ করতে ভালো লাগত না। এ জন্য শাহাদাতের স্ত্রী বকাঝকা করত। দুর্ঘটনায় আমার পা ভেঙে যায়। এ জন্য চিকিৎসা নিই। আসামিরা আমাকে কোনো রকম খুন্তির ছ্যাঁকা দেননি। আগে মানুষের পরামর্শে এই মামলা করি। আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই। আমি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডাক্তারের কাছে কিছু বলছি কি না, আমার খেয়াল নেই।’

এর আগে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এর বিচারক তানজিনা ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী ভিকটিম মাহফুজা আক্তার হ্যাপীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার কাগজ উপস্থাপন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সে জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দিতে হ্যাপী আরো বলেছে, ‘আমি ক্রিকেটার শাহাদাতের বাসায় প্রায় এক বছর যাবৎ কাজ করি। আমাকে দুই হাজার টাকা বেতন দিত। আমি বাসার সব কাজ করতাম। আমার কাজে কোনো ভুল হলেই শাহাদাত আর তার বৌ আমাকে মারত।’

‘একজন পা দিয়ে আমাকে পাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত, অন্যজন মারত। সারা শরীরেও লাঠি দিয়ে মারত। আমার পাছায় বেশি মারত। আবার মারার জায়গায় বরফ দিয়ে ধরে রাখতো সারা রাত। আমি বরফ সরালে তাঁরা আবার পিটাত। আমার বরফ ধরে রাখতে কষ্ট হতো।’

‘প্রায়ই শাহাদাত হোসেন আমার গলা টিপে ধরত। আমার শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে আমি শ্বাস নিতাম। তখন আমাকে আরো মারত।’

মারতে চার-পাঁচটি ডাল ঘুটনি ভেঙ্গে ফেলেছে। আমাকে ভাতের চামচ দিয়ে মারত। ভাতের চামচ অনেক মেরে ভেঙ্গেছে।’

‘রুটি বানানোর বেলন দিয়ে মারত। আমি ওটা লুকিয়ে রেখেছিলাম বলে ওরা আরো একটি বেলন কিনে আনছে। শাহাদাত হোসেনের বৌ কাঠের খুন্তিতে গরম তেল নিয়ে আমার হাঠুতে ছ্যাকা দেয়।’

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর  বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top