সকল মেনু

ঈদে মার্সেলের নতুন মডেলের ফ্রিজ, টিভি

unnamedনিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদ। এবার ঈদে ফ্রস্ট, নো ফ্রস্ট এবং ডিপ ফ্রিজ বিক্রির ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। ঈদ উপলক্ষে নতুন মডেলের বুম বক্স এলইডি টিভি বাজারে ছেড়েছে তারা। এসেছে আরো ৪ মডেলের নতুন এলইডি টিভি, চার মডেলের ফ্রিজ। মার্সেল ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে নতুন মডেলের হোম এবং ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস। তাদের টার্গেট গত বছরের কোরবানীর ঈদের তুলনায় এবার ৫০ শতাংশ বেশি পন্য বিক্রির।
জানা গেছে, ঈদুল আযহা’কে কেন্দ্র করে সারাদেশে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যের ও আকর্ষণীয় নতুন মডেলের রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, এলইডি লাইট ও বাল্ব, সুইচ-সকেট, ওয়াটার পিউরিফায়ার, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, ইন্ডাকশন কুকারসহ অন্যান্য হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে ছাড়ায় মার্সেলের বিক্রি বেড়েছে ব্যাপকহারে। গত বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় চলতি আগস্টের প্রথম ২০ দিনেই প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে তারা বাজারে এনেছে ২০ ইঞ্চির এলইডি টিভি। এই টিভির দুই পাশে শক্তিশালী সাউন্ড বক্স থাকায় এর নাম দেয়া হয়েছে ‘বুম বক্স’। এসেছে ১৯, ২৪, ২৮ ও ৩২ ইঞ্চির সিলভার ভার্সন এলইডি টিভি। এসব এলইডি টিভি গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
বাজারে নতুন আসা ২১৭ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২১৩ লিটার ও ২২০ লিটারের নতুন  ফ্রস্ট ফ্রিজও ভালো চলছে। বিশেষ ডিজাইনে বড় ডিপযুক্ত হওয়ায় মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে। এর ফলে আলাদা করে ডিপ ফ্রিজের দরকার হয় না। তবে এবারের ঈদে মার্সেলের স্পেশাল পণ্য বলা চলে ৩০০ লিটারের ডিপ ফ্রিজ। কোরবানীর গোশত সংরক্ষণের জন্য এটি সবচেয়ে উপযোগী বলে বিক্রেতারা জানান।
নতুন মডেলের কিছু হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সও বাজারে ছেড়েছে মার্সেল। এর মধ্যে রয়েছে ২৮ লিটার ধারনক্ষমতার ওয়াটার পিউরিফায়ার, পিঙ্ক ও ব্লু কালারের ব্লেন্ডার, উচ্চমানের সিলিং ফ্যান, মাল্টি পিন সকেট, টিভি সকেট, টেলিফোন সকেট ও ডাটা ক্যাবল সকেট।
মার্সেল বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ কিছু কারণে মার্সেল পণ্যের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এরমধ্যে রয়েছে, দামে সাশ্রয়ী উচ্চমানের মার্সেল পণ্য দেশেই তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া মানুষের মাথাপিছুঁ আয় বৃদ্ধি, বিদ্যূত ব্যবস্থার উন্নতি, স্থিতিশীল রাজিৈনতক পরিস্থিতি এবং মানুষের মধ্যে ক্রয় প্রবণতা বৃদ্ধি। তারা জানান, গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি মার্সেল ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও, এসি ও এলইডি টিভির বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৪৫ শতাংশ ও ৩৫০ শতাংশ।
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, ঈদে বিশেষ করে ডিপ ফ্রিজ, সাধারন ফ্রিজ এবং টেলিভিশনের চাহিদা থাকে বেশি। বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মার্সেল। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে।

unnamedমার্সেলে‘র প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) শামীম আল মামুন জানান, মার্সেলের সাধারণ ফ্রিজগুলো বড ডিপযুক্ত। ফলে আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ কেনার দরকার হয় না। যে কারণে সারাদেশে মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থাকায় ক্রেতারা হাতের নাগালে পাচ্ছেন বিক্রয়োত্তর সেবা।
উল্লেখ্য, মার্সেলের প্রোডাক্ট লাইনে আছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ২৮টি পণ্য। এসব পণ্যের রয়েছে দুই শতাধিক আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মডেল। যারমধ্যে আছে ৩৮ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৩টি ধরণের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৬ মডেলের ডিপ ফ্রিজ, ৬০ মডেলের এলইডি এবং ১৩ মডেলের কালার লাইন টেলিভিশন, ৭ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, ৪ মডেলের মোটরসাইকেল, ৭ মডেলের জেনারেটর ও এলইডি বাল্ব, ১৪ মডেলের রাইস কুকার, ১০ মডেলের ব্লেন্ডার, ৬ রকমের আয়রন, ৫ ধরণের সিলড লেড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারী ও গ্যাং সুইচ, ৪ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি ও রিচার্জেবল ফ্যান, ৩ টি মডেলের ইন্ডাকশন কুকার, গ্যাস স্টোভ ও রিচার্জেবল ল্যাম্প, ২টি করে মডেলের ওভেন, রুম হিটার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, ইলেকট্রিক হোল্ডার ও ওয়াটার পিউরিফায়ার, ১টি করে মডেলের এয়ার কুলার, ফ্যান ফ্যান, সিলিং ফ্যান,এলইডি টর্চ, ভোল্টেজ প্রোটেক্টর, পিন সকেট, ইউএসবি সকেট, কলিং বেল, মাল্টি সকেট, টিভি সকেট, টেলিফোন সকেট, ডাটা সকেট ইত্যাদি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top