সকল মেনু

পাখি শিকার করে অস্ত্রের প্রশিক্ষণও নেয় ৪ নারী জঙ্গি

র‌্যাব হেফাজতে থাকা নতুন ধারার জেএমবির চার নারী সদস্য টার্গেট শুটিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এজন্য তারা গুলি চালানো শেখে গাজীপুরের সাইনবোর্ড হাজীরপুকুর এলাকায়।জিহাদের প্রস্তুতি পর্বের আওতায় তাদের এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মানারাত বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী খালেদা পারভীন মেঘলার কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

jmb_22883_1471812563সে জানায়, তাদের ‘দ্বীনি বোন’ (জঙ্গিদের ভাষায়) ডাক্তার ইসতিসনা আক্তার ঐশীর ল্যাপটপে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ছিল, যা সে মুছে ফেলেছে। গোয়েন্দারা ওই ল্যাপটপের অধিকতর ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে সেসব তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হন। সেখানে কথিত জিহাদের জন্য নিজেকে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো পাওয়া যায়। এসব নির্দেশনার ধরন দেখে গোয়েন্দারা বিস্মিত হয়েছেন।

দায়িত্বশীল এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে ঐশি, আকলিমা, মেঘনা ও মৌ নামের ওই ৪ নারী জেএমবির সদস্যকে আটকের কথা জানায় র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক খন্দকার লুৎফুল কবির।

এদের মধ্যে ঐশী ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক। বাকি তিনজন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমান র‌্যাব হেফাজতে থাকা ওই ৪ নারী জঙ্গির কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, হাজীরপুকুর এলাকায় প্রশিক্ষণ নেয়ার পর তাদের ধানমণ্ডির একটি বাসায় খেলনা পিস্তল দিয়েও যে কোনো বস্তুকে টার্গেট করে শুটিং প্র্যাকটিস করত। সূত্র মতে, ওই ৪ নারীকে জিহাদের প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিধিনিষেধ অনুসরণ করার নির্দেশনা ছিল। যার একটি প্রস্তুতি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কথিত শহীদ অপারেশনে না যাওয়া।

সূত্র জানায়, মেঘলা স্বীকার করেছে যে, তাদের ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনে তারা ‘টর ব্রাউজার’ ব্যবহার করত। এ পদ্ধতির ফলে ডিভাইসে কোনো ধরনের ব্যবহৃত তথ্য থাকে না। ডিলিট করে দিলে এসব তথ্য আর উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। কিন্তু গোয়েন্দারা অধিকতর ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে মুছে ফেলা বহু তথ্যই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন তারা সেগুলো পর্যালোচনা করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top