সকল মেনু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা

বংশাল রোডে মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা, জলকামান থেকে জল ছিটিয়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছবি: সাহাদাত পারভেজ

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত জায়গায় আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিল পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মিছিলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাচ্ছিল।

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ইংলিশ রোডের মাথায় টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তায় শুয়ে-বসে বিক্ষোভ করছেন। ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

মিছিলে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার কথা। এ জন্য শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর সাড়ে নয়টার দিকে তাঁরা মিছিল নিয়ে বের হন। মিছিলটি এগোতে থাকলে বিভিন্ন সড়কে পুলিশ বাধা দেয়।
ইংলিশ রোডের মাথায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সাহাদাত পারভেজজজকোর্ট এলাকায় প্রথম ব্যারিকেড ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। এরপর রায় সাহেব বাজার মোড়ে। মিছিলটি নয়াবাজার মোড়ে পেরিয়ে বংশাল রোডের দিকে এলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট, জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে ও লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের মধ্যে তৌফিক এলাহী ও মিথুন রায় নামের দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ইংলিশ রোডের মাথায় বিক্ষোভ করছেন।
কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত ওই জায়গায় ছাত্রাবাস নির্মাণের দাবিতে এই শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা লাগিয়ে ও সড়ক অবরোধ করে ধর্মঘট করেছেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষদ ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় মিছিল করেন তাঁরা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমানের সভাকক্ষে জরুরি সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কারাগারের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে একমত পোষণ করেন তাঁরা। একইভাবে শিক্ষার্থীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে গতকাল পৃথক বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top