সকল মেনু

ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা

4073_pic,,ফরিদপুর প্রতিনিধি:  রোববার দুপুরে ফরিদপুরে ১ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়েছে বিভিন্ন এলাকার কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, উপড়ে পড়েছে বড় গাছ ও বিদ্যুতের খুটি। জুট মিলের টিনের সেড ভেঙ্গে ও গাছ চাপায় নিহত হয়েছে ৫ জন। রাস্তায় গাছ পড়ে থাকায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে জেলার বিদ্যুত ব্যবস্থা।

সকাল থেকেই ফরিদপুরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। আকাশ ছেয়ে ছিলো নিকষকালো মেঘাচ্ছন্ন। বেলা দেড়টার দিকে শুরু হয় প্রচন্ড ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডা এলাকার জোবাইদা করিম জুট মিল, গদাধরডাঙ্গী, কেশবনগর, দরানীপাড়া, মল্লিকপুরসহ প্রায় ১০ গ্রামে ১মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে সব তছনছ করে দিয়ে যায়। ঘুর্ণিঝড়ে জুট মিলের প্রায় ৫/৬ হাজার বর্গফুট টিনের সেড জুটমিলের মধ্যে ভেঙ্গে পড়লে সেখানকার শ্রমিকরা চাপা পড়ে। কর্মরত  ৪ শতাধিক শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়ে। এদের মধ্যে হযরত আলী (৫৫), মালতী (৩৫) ও আকাশ (২২) নিহত হয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মিলের জেনারেল ম্যানেজার মতিউর রহমান জানান, মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করা যাচ্ছে না।

এদিকে গাছ চাপা পড়ে বীরেন বিশ্বাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মানিকগঞ্জ থেকে শ্রমিকের কাজে আসা আবুল হোসেন (৪০) নামের এক শ্রমিক মারা গেছে। কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘূর্ণিঝড়ে শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের জোয়ারের মোড় এলাকায় গাছ ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতে খুঁটি উপড়ে পড়ায় জেলায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকার শত শত বাড়িঘর ভেঙ্গে বিধ্বস্ত হয়েছে।

হতাহতদের উদ্ধারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ সাধারন মানুষ উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ববধায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, করিম জুট মিলসহ বিভিন্ন এলাকায় আহত ৫০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ওসি নাজিমুদ্দিন বলেন, করিম জুট মিল থেকে আহত শ্রমিকদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। এছাড়া আরো দুই দিনমুজুরের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। অনুদানের বিষয়টি ফরিদপুরের এনডিসি মনদীপ ঘড়াই নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top