সকল মেনু

সশস্ত্র সংঘাতে মহিলাসহ আহত ৩০

clashm.jpg_4924_0.clashmনিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া: গরুতে বীজতলা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সংঘাতে মহিলাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরতর জখম অবস্থায় আলাউদ্দিন মল্লিক ও তার ভাই আনোয়ার মল্লিককে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১৭ জনকে কলাপাড়া হাসপাতালে ও বাকিদের গ্রাম্য চিকৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘাত চলে। কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন আনোয়ার মল্লিক গ্রুপের আনোয়ার মল্লিক, শাহজাহান মল্লিক, মনির মল্লিক, শামসুল হক পাহলোয়ান, আবু সালেহ আকন, আলাউদ্দিন মল্লিক, শাহীনুর, আসমা। অপরপক্ষ গিয়াস উদ্দিন ফরাজী গ্রুপের রুস্তুম ফরাজী, বিলকিস, রাসেল, কুদ্দুস ফরাজী, নয়া মিয়া, কুলসুম, সাইদুর রহমান, মিনারা বেগম ও সুফিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সুত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে আনোয়ার মল্লিক গ্রুপের একজনের গরু আক্কেলপুর চরে ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁেধ রাখেন। ওই গরুতে ফরাজী গ্রুপের একজনের বীজতলা নষ্ট করে। গরু নিয়ে খোয়াড়ে দেয় ফরাজী গ্রুপের রাসেল। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বারেক আকনকে ধাক্কা দেয় কুদ্দুস ফরাজীর ভাই গিয়াস। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে দু’গ্রুপ সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

তবে অপরএকটি সূত্র জানায়, আক্কেলপুর গ্রামের বারেক আকন একই গ্রামের রুস্তুম ফরাজীর নিকট টাকা পায়। এ পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বারেক আকনকে মারধর করে রুস্তুম ফরাজীর গ্রুপ। এ ঘটনায় দু’দফা সালিশ হলেও কোন ফয়সালা হয়নি। এর জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমানে এ ঘটনায় নীলগঞ্জ ইউনিয়ন জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষ ফের হামলা পাল্টাহামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top