সকল মেনু

গ্রন্থাগার থেকে ইতিহাস বিকৃত করা বই অপসারণের দাবি

image-32439-1471631319

ফাইট ল্যাফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ শনিবার। এই বীরের জন্মস্থান নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারে রক্ষিত অনেক বই রয়েছে, যেগুলো মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসকে বিকৃত করে লেখা। এ অভিযোগ করেছেন গ্রন্থাগারে নিয়মিত বই পড়তে আসা পাঠকরা। তারা ইতিহাস বিকৃতির এসব বই অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা আর বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজনকে সর্বোচ্চ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়, মতিউর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম। এই বীরশ্রেষ্ঠদের স্মৃতিবিজড়িত তথ্যাদি সংরক্ষণের উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের নামে প্রতিষ্ঠা করা হয় স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার। এরই ধারাবাহিকতায় নরসিংদী জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় আট বছর আগে শহীদ ফাইট ল্যাফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের নামে তার গ্রামের বাড়ি রায়পুরা উপজেলার মতিউরনগর গ্রামে স্থাপন করা হয় ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার’।

দীর্ঘ সময় পার হলেও এ জাদুঘর ও গ্রন্থাগারে নেই পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী বই-পুস্তক। গ্রন্থাগারে যে কটি বই রক্ষিত আছে, সেগুলো মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃত করে লেখা বলে পাঠকরা অভিযোগ করেছেন। এসব বই অপসারণের দাবি ও ভবিষ্যতে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সম্পর্কিত বই প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মো. নজরুল ইসলাম। এদিকে জাদুঘরে নেই মতিউরের কোনো স্মৃতিবিজড়িত ব্যবহারিক আসবাবপত্র।

এ জাদুঘর ও গ্রন্থাগারের কেয়ারটেকার এনামুল হক জানান, বীরশ্রেষ্ঠের ইতিহাস জানার জন্য দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসেন। এসে জাদুঘরে কিছুই দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top