সকল মেনু

দুঃসময়ে হাইব্রিডদের খুঁজে পাওয়া যাবে না : ওবায়দুল কাদের

download

দলের অভ্যন্তরের ‘হাইব্রিড’ ও ‘আসল’ নেতা-কর্মীদের চিনে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আজ সরকার ক্ষমতায় আছে। অনেকে আছে ক্ষমতার সুবিধাভোগী। এই ক্ষমতার রাজনীতিতে অনেকের অনুপ্রবেশ ঘটবে। হাইব্রিডদের ভিড়ে যেন আসল কর্মীরা হারিয়ে না যায়। দুঃসময় এলে বাতি দিয়েও এই হাইব্রিডদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জাতীয় শোক দিবসে ব্যানার-বিলবোর্ড ও পোস্টারে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ছবি ব্যবহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ যখন বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে পোস্তগোলার রাস্তায় ৫০টি ছবি দেখি, তখন আমার লজ্জা হয়। আধুলি নেতা, পাতি নেতা; এগুলোকে চিনিও না, জানিও না। কম্পিউটারের মাধ্যমে ছবি পরিবর্তন করে ফেলে। সামনে দেখি এক রকম, বিলবোর্ডে দেখি আরেক রকম।’

পোস্টার-বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহারে দলকে আরও কঠোর হওয়া দরকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা অনেকে মন্ত্রী হয়েছি-এমপি হয়েছি। কেন আমাদের বিলবোর্ডে ছবি প্রদর্শন দরকার? আমার মনে হয়, আমরা যাঁরা মন্ত্রী-এমপি, আমাদের ছবি যেন বিলবোর্ডে না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছবি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে অপকর্ম থেকে বিরত থাকলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া এবার ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেননি। আমি বলব, এতে খালেদা জিয়ার শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি। তিনি ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করেননি। তাঁর দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য তিনি এবার ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, তিনি যে বন্যার অজুহাত দেখিয়ে কেক কাটা থেকে বিরত ছিলেন, কিন্তু তিনি এবং তাঁর দলের জাম্বুজেট সাইজের কমিটির কোনো নেতা-কর্মী বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াননি।’

স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘কোনো পরাশক্তি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাহস পেত না, যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ মুনাফিকেরা সহায়তা না করত। এখনো কিন্তু সেই মিরজাফর, মুনাফিকেরা আছে। তারা এখন সব জায়গায়। দলের মধ্যে আছে, সরকারের মধ্যেও আছে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, যুব মহিলা লীগের নেত্রী অপু উকিল, সাবিনা আক্তার প্র

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top