সকল মেনু

রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে

unnamed (10) শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনীদের অন্যতম বহিস্কৃত লে. কর্ণেল রাশেদ চৌধুরী ছাত্র জীবনে চুপ-চাপ ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে হলেও চাকুরি জীবনে যেয়ে বদলে গেছে তার জীবনযাত্রা। এলাকার মানুষ তাকে মেধাবী ও ভাল ছেলে হিসেবেই জানতো। যদিও মানুষ মারার হাতেখড়ি নিজ এলাকা থেকে নিয়েছিলেন রাশেদ। প্রথমে একজন মুক্তিযোদ্ধার রক্তে হাত রাঙ্গিয়ে পরে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মিশনে অংশ নেয়।
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং পূর্ব বড়কূল ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি গ্রামের তৎকালীন মুসলীম লীগ নেতা মরহুম শিহাব উদ্দিনের ছেলে রাশেদ চৌধুরী। ৮ ভাই এক বোনের মধ্যে রাশেদ ৪র্থ। ছাত্র জীবনে আচার আচরণ ভালো ছিল। কিন্তু চাকুরী জীবনে গিয়ে বদলে গেছে রাশেদ। জানালেন রাশেদের সহপাঠিসহ এলাকার লোকজন। গ্রামের বাড়িতে রাশেদ চৌধুরী সব শেষ কবে এসেছেন জানেন না তার স্বজনরা। অবশ্য গ্রামের বাড়িতে তার ছোট ভাই তোফায়েল চৌধুরী ছাড়া আর কেউই থাকে না। তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলে সাজ্জাত চৌধুরী জানালো, সে তার চাচাকে কখনো সামনাসামনি দেখে নি, এমন কী ফোনেও তার সাথে কথা হয়নি। রাশেদ বাড়ির সাথে কোন যোগাযোগ রাখে না বলে জানালো সে।
রাশেদ চৌধুরীর বাবা মরহুম শিহাবউদ্দিনের সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইউপি সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ও তৎকালীন আ’লীগ নেতা আঃ লতিফ মাস্টারের একটি স্কুল নিয়ে বিরোধ ছিল। তার জের ধরে রাশেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কিছুদিন আগে ওই মাস্টারকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে ফেনীর ছাগলনাইয়া ব্রিজের নিচে ফেলে রেখেছিল্। সেই হত্যকান্ডের আজো বিচার পায়নি তার পরিবারের সদস্যরা। বাবা হত্যার বিচার চেয়েছে মরহুম লতিফ মাষ্টারের ছেলে আহসান হাবিব।
সেনাবাহিনী থেকে বহিস্কৃত ও পলাতক খুনী রাশেদ চৌধুরী হাজীগঞ্জের সোনাইমুড়ি মৌজায় ১ একর ১৫ শতক জমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে ২০১৪সালের ২৮ এপ্রিল সেই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে হাজীগঞ্জের উপজেলা প্রশাসন।

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের অন্যতম রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর পরই বিদেশ পাড়ি দেয়। এরপর সে এরশাদের শাসনামলের শেষ দিকে একবার এক দিনের জন্য গ্রামে এসেছিল। তবে কারো সাথে কোন কথা বলে বলেনি। বর্তমানে এই খুনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছে। এ খুনিকে দ্রুত দেশে এনে রায় কর্যাকরের দাবি দেশবাসীসহ চাঁদপুরের আপামর জনতার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top