সকল মেনু

চিরিরবন্দরে আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কৃষকরা

unnamedমোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অনেক কৃষকরা । যে আখ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে আখের গুড় তৈরীতে চিনি কল গুলোতে পাঠানো হত। এখন শুধু মাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্য আখ চাষ করা হয় না বলেই জানিয়েছেন অনেক আখ চাষীরা। চিরিরবন্দর উপজেলায় আখ মিষ্টি ও সুস্বাধু হওয়ায় চাহিদাও ছিল বেশি।

এক সময় চিরিরবন্দরে উল্লেখযোগ্য স্থান যেমন,সাতনালা, ইসবপুর,সাইতীড়া ও ফতেজাংপুর ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে চলছে ইছামতি নদী যার ভরা বর্ষা মৌসুমেও পযাপ্ত পানি না থাকলে সেই নদীর প্রায় সব এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমান আখ চাষ করা হত। কিন্তু বর্তমানে আখচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অনেক কৃষক। এতে আশঙ্কাজনকহারে আখ চাষের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। যাও আখ চাষ হয় তা উপজেলার চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে না অন্য উপজেলার ব্যবসায়ীরা চড়া দামে কিনে নিয়ে যায়।

একজন কৃষক সূত্রে জানা গেছে, ৩-৪ বছর আগে চিরিরবন্দর উপজেলার চোখে পড়ার মত জমিতে আখ চাষ হতো। চলতি বছরে আঁখ চাষ নেই বললেই চলে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ এলাকায় আখ চাষ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে অনেক আখ চাষীরা। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিকেজি আখের গুড় ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং প্রতিটি আখ  ৩০ টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা জানান। অথচ বিগত বছরগুলোতে আখ ও আখের গুড়ের দাম অনেক কম ছিল। ফলে আখ চাষ করে কৃষকদের খরচের টাকাও উঠতো না। বাধ্য হয়ে কৃষকরা আখ চাষ বাদ দিয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে শ্রমিকের উচ্চ মুজরির কারনে, কৃষকরা অন্য ফসলের চাষ এর জন্য ঝুঁকে পড়ায় আখ চাষ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে আখ চাষীরা জানায়।

এদিকে এক দিনমজুরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৩ বছর আগে চিরিরবন্দরে আখের আবাদ বেশ ভালোই ছিলো , আমি আখের গাড়িতে আখ উঠা নামা করতাম, উপজেলার ঘাটেরপাড় ও ওকরাবাড়ীতে আখ কেনা বেচায় আমার মত অনেক দিন মজুরের সংসার চলতো।

অন্যদিকে চিরিরবন্দর হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে একটি বাজারে একজন আখ বিক্রেতা কোথাও আবার একজন বিক্রেতাও নেই, প্রতিটি আখ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা ধরে। একজন আখ ক্রেতা মো: জসিম উদ্দিন জানায় , ৩ বছর আগে একটি আখের মূল্য ছিলো ১০ থেকে ১৫ টাকা এখন না নিতে হচ্ছে ৩০ টাকায়, আর  গ্ল্রাস প্রতি আখের সরবতের দাম ছিলো ৫ টাকা এখন তা ১০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে।

আখ চাষে সচেতন মহল জানান, কৃষকদের আখ চাষে উদ্ধুধ করা না গেলে এ এলাকা থেকে আখ চাষ হারিয়ে যাবে বলে তারা জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top