সকল মেনু

সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের স্বরণ সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার

74_26852হটনিউজ২৪বিডি.কম : ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার গত ১০ জুলাই ২০১৬ এমসিসিআই কর্তৃক আয়োজিত সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের স্বরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় ভারতীয় হাইকমিশনারের দেওয়া বক্তব্যটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:

জনাব সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সভাপতি এমসিসিআই, সভাপতি চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড বিজনেস এ্যাসোসিয়েশনস (এফবিসিসিআই,আইসিসি,ডিসিসিআই,সিসিসিআই,এফআইসিসিআই,বিজিএমইএ এবং বিটিএমএ), আমার সহকর্মী ইতালি,জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদুতগণ, ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ;

আজ সন্ধ্যায় এখানে মিলিত হওয়া অনেকের উপর ১ জুলাই ঢাকায় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলা গভীর ও মর্মস্পর্শী প্রভাব ফেলেছে। সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যবৃন্দদের যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তা অপূরণীয়।

আমি নিহতদের পরিবারকে আপনাদের সহিত আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও সমবেদনা জ্ঞাপণ করতে চাই।

ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সন্ত্রাসী হামলার গভীর নিন্দা জানিয়েছেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

এক ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাদের এই যুদ্ধে বাংলাদেশ একা নয়, ভারতের জনগণ ও বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে পাশে আছে।

ভারত সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের সকল রুপ এবং এর উত্থানকে নিন্দা করে এবং এমন অর্থহীন সহিংসতার কোন যুক্তি হতে পারে না (হলি বেকারী), একই ভাবে কোন ভাল বা খারাপ সন্ত্রাসী বলে কোন কিছু হতে পারে না ।

বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণা করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সকল স্তরের জণগনকে সাথে নিয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ অবলম্বন করেছে।
আমরা সরকারের সাথে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, উগ্রবাদ এবং ধর্মান্ধতা প্রতিহতের প্রচেষ্টায় এক যোগে কাজ করার প্রত্যয় জ্ঞাপণ করছি।

যেমন আমরা জানি, ১ জুলাই এর সন্ত্রাসী হামলার শিকার এক তরুণী, তারিশি জৈন , ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। তার এই মৃত্যূ তার পরিবার এবং তার পরিচিতজনদের জন্য অসহণীয়, ব্যক্তি হিসাবে তিনি ছিলেন প্রফুল্ল এবং তার ভবিষ্যৎ জীবন ছিল অপার সম্ভাব্নাময়।

ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে আমি কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এমসিসিআই ও অন্যান্য বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোকে এ ধরণের একটি স্বরণ সভা আয়োজনের জন্য।
আমি আপনাদের সমবেদনা তারিশির পরিবারের নিকট জ্ঞাপন করব।
তার এবং এই হামলায় আক্রান্তদের আত্মা শান্তি লাভ করুক।

হাইকমিশনার সংস্কৃত শ্লোক থেকে উদ্বৃত করেন, যার বাংলা অর্থ নিম্নরুপ:
১) আমাদের অবাস্তবতা থেকে বাস্তবতায় নেতৃত্ব দিন(শ্বাশত কল্পে)।
২) অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে পরমাত্মার জ্ঞানে আলোকিত করুন।
৩) মৃত্যূ ভয় থেকে আমাদের অমরত্বের জ্ঞান লাভে ধাবিত করুন।
৪) ওম শান্তি, ওম শান্তি, ওম শান্তি।।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top