শামছুজ্জামান নাঈম,মালয়েশিয়াঃ মালয়েশিয়ায় পেট্রোলপাম্পের ক্যাশ কাউন্টারে ডাকাতির চেষ্টা রুখে দিয়েছে সাহসী দুই বাংলাদেশী। ঐ ঘটনায় দুই বাংলাদেশি শ্রমিকের একজন গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হটনিউজ২৪বিডি.কমকে ‘ জানায় গত রবিবার বিকেলে সেলানগর প্রদেশের জালান গেন্তিং ক্লাং একটি পেট্রোলপাম্পের ক্যাশ কাউন্টারে বসেছিলেন এক বাংলাদেশী শ্রমিক। ঐ সময় এক বন্দুকধারী ক্যাশের সব অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে অপর এক শ্রমিক এসে জাপটে ধরেন বন্দুকধারীকে। পরে প্রথম শ্রমিক নিরাপত্তা বাটনে চাপ দিলে ব্যর্থ হয় ডাকাতির চেষ্টা।

ডাকাতির চেষ্টা রুখে দেওয়া সাহসী বাংলাদেশি শ্রমিকের একজন তারেকুল ইসলাম (২৩) ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তাঁর পা ভেঙে যায়। অপরজন খালিদ আবদুল্লাহ (৩৪) ডাকাত ধরায় তারেকুলকে সাহায্য করতে এসে ডাকাতের ছোড়া গুলিতে ঊরুতে আঘাত পেয়ে আহত হন।

হটনিউজ২৪বিডি.কমকে আরও জানায়, স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দুকধারী পেট্রোলপাম্পে উপস্থিত ক্যাশে থাকা খালিদ আবদুল্লাহর দিকে হয়ে পিস্তল তাক করে সব অর্থ দিতে বলে। খালিদ ডাকাতের মনোযোগ নষ্ট করার জন্য ক্যাশ থেকে সরে যেতে থাকেন।

কুয়ালালামপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারেকুল ইসলাম  হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ডাকাতটি ক্যাশের কাছে অর্থ চাইছিল। ওই সময় তিনি ডাকাতকে চমকে দিয়ে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। ডাকাতটি তিনটি গুলি করে। এর একটি লাগে তাঁর ঊরুতে। এর পরও ডাকাতকে ছেড়ে দেননি তিনি।

হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, পেট্রলপাম্পে যাওয়া এক ক্রেতা তারেকুলের সহায়তায় এগিয়ে যান। আর খালিদ ডাকাতের পিস্তল হাতে তুলে নেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে ডাকাতকে তাদের হেফাজতে নেয়।

ডাকাতির ঘটনা স্মরণ করে তারেকুল ইসলাম হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন , ‘এটি ছিল ভয়ংকর। এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল। কিন্তু সে (ডাকাত) অর্থ ছিনিয়ে নিক, এমনটি আমি হতে দিতে চাইছিলাম না।’

খালিদ আবদুল্লাহ বলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি কাঁপছিলেন। ভয় পেলেও তিনি পরদিন আবার কাজে যান। তিনি আরো বলেন, ‘এমন ঘটনা আবার ঘটবে, এমন ভয় আমি পাই না। শুধু আমার কাজ করে যেতে চাই।’

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে ৩২ বছর বয়সী এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। সে ধার করা একটি পিস্তল নিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে। বিষয়টি এখনো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।