সকল মেনু

ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে আপনার অবিকল ‘পুতুল’

ছবি তোলা হয় স্মৃতি ধরে রাখার জন্য। এ সময়ে স্মার্টফোনে ভালো মানের ক্যামেরা থাকায় জীবনের আনন্দঘন কোনো মুহূর্তই আর বাদ পড়ে না স্মৃতির অ্যালবাম থেকে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি স্টুডিও এই স্মৃতিকে আরো জীবন্তভাবে ধরে রাখার জন্য তৈরি করেছে একটি ত্রিমাত্রিক স্টুডিও, যেখানে আপনি নিজের বা পছন্দের কারো ত্রিমাত্রিক ছবি বানিয়ে নিতে পারবেন। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরির এই প্রচলন দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন দারুণ জনপ্রিয়। দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এ ধরনের ছবি তোলার জন্য একটি স্টুডিও তৈরি করা হয়েছে। শতাধিক ডিএসএলআর ক্যামেরায় সজ্জিত এই স্টুডিওতে একজন ব্যক্তির নানা দিকের ও নানা অঙ্গভঙ্গির ছবি তোলা হবে। এ ছবিগুলো থেকে তৈরি করা হবে ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরির একটি ব্লুপ্রিন্ট।

এর পর ল্যাবে বসে জিপসাম পাউডার ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক ছবিটির প্রিন্ট তৈরি করা হবে। আর এই প্রিন্ট থেকেই একেবারে সত্যিকারের মানুষের মতো একটি পুতুল তৈরি করে দেওয়া হবে। এক থেকে দুদিন সময় লাগে একটি ছবি তৈরি করতে।

শখের এ বিষয়টি বেশ দামি। ১০০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার লাগবে এ ধরনের একটি ত্রিমাত্রিক ছবি পেতে। তবে শখ পূরণে অর্থ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না নিশ্চয়ই। তাই রীতিমতো ভিড় লেগে গেছে ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরির স্টুডিওগুলোতে।

লিম সু-জাং নামের এক মা তাঁর ছোট বাচ্চাকে নিয়ে এসেছেন বাচ্চাটির ত্রিমাত্রিক ছবি তোলার জন্য। তিনি বলেন, ‘আমি খুব চাইছিলাম আমার ছেলের এই বয়সের একটি ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করে রাখতে, যাতে বড় হয়ে ও দেখতে পারে ছোটবেলায় ও দেখতে কেমন ছিল।’

অ্যাশলে ইয়োরস্কি নামের এক মার্কিন নারী সিউলে লেখাপড়া করছেন। কিন্তু তাঁর প্রেমিক থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাই প্রেমিককে পাঠানোর জন্য তিনি নিজের একটি ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করেছেন। ফটোগ্রাফের চেয়েও ত্রিমাত্রিক ছবি বেশি বাস্তব লাগে, তাই নিজের ‘পুতুল’ বানাতে এসেছেন তিনি। চাইলে আপনিও বানাতে পারেন আপনার নিজের এমন ছোট রেপ্লিকা, তবে সেজন্য আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ কোরিয়ায়, কি যাবেন নাকি?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top