সকল মেনু

বিশ্ব বন্ধু দিবস আজ

বিশ্ব বন্ধু দিবস আজআর- একটিবার আয় রে সখা প্রাণের মাঝে…

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আয় আর- একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।/ মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়…। প্রাণজুড়িয়ে নেয়ার বিশেষ দিবস আজ। আজ বন্ধুর সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলার দিন বিশ্ব বন্ধু দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদ্যাপিত হবে।

জীবনের চাওয়া পাওয়া অনেক। তবে বন্ধু চাই। চাই-ই। বন্ধু ছাড়া জীবন সত্যি কঠিন। নিরস। আজ সেই বন্ধুতার উৎসব হবে। প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবারটি বন্ধু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। ১৯৩৫ সালে মার্কিন কংগ্রেস দিবসটিকে জাতীয় বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পর থেকে সেটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারাবিশ্বে। এখন বাংলাদেশেও দিবসটি খুব জনপ্রিয়। দু-একদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। আর আজ হবে উদ্যাপন। না, দৃশ্যমান আনুষ্ঠানিকতা তেমন থাকে না। তবে বন্ধু শব্দটা, সম্পর্কটা ঘুরে ফিরে আসে। আড্ডা হৈ হুল্লোড় লেগে থাকে দিনভর। বন্ধুতার কত শত স্মৃতি! ঘাটাঘাটি করে কখনও সুখ, কখনও বেদনায় ডুবে যাওয়া। সবই আজ নতুন করে সামনে আসবে।

কে আসলে বন্ধু? বন্ধুতা কাকে বলে? এ আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের ভাবনাটি অসাধারণ। সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে কবিগুরু লিখেছেনÑ ‘বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাঁটুর নিচে না পৌঁছিলেও পরিতে বারণ নাই। গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। ভালোবাসার সঙ্গে বন্ধুতার তুলনামূলক আলোচনা করে তিনি লিখেছেনÑ ‘অনেকে বলিয়া থাকেন বন্ধুত্ব ক্রমশ পরিবর্তিত হইয়া ভালোবাসায় উপনীত হইতে পারে, কিন্তু ভালোবাসা নামিয়া অবশেষে বন্ধুত্বে আসিয়া ঠেকিতে পারে না। একবার যাহাকে ভালোবাসিয়াছি, হয় তাহাকে ভালোবাসিব নয় ভালোবাসিব না; কিন্তু একবার যাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব হইয়াছে, ক্রমে তাহার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপিত হইতে আটক নাই। অর্থাৎ বন্ধুত্বের উঠিবার নামিবার স্থান আছে। কারণ, সে সমস্ত স্থান আটক করিয়া থাকে না। কিন্তু ভালোবাসার উন্নতি অবনতির স্থান নাই।’ বন্ধুতার আরও অনেক ভালো দৃষ্টান্ত খুঁজে নেয়া যাবে। দেখানো যাবে। সেদিকে না গিয়েও বলা যায়, বন্ধু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহারগুলোর অন্যতম। যিনি পেয়েছেন, তিনি তা বোঝেন। যিনি পাননি তিনি বোঝেন আরও বেশি! ফলে উভয় অংশকেই আন্দোলিত করে আবেগে ভাসায় বন্ধু দিবস।

আজ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুরা নিজেদের মতো করে দিবসটি উদযাপন করবে। ঘনিষ্ট বন্ধুরা সময় কাটাবে একান্তে। নিজেদের মধ্যে উপহার বিনিময় করবে। টিএসসিতে প্রতিদিনের আড্ডা আজ নতুন মাত্রা পাবে। হবে তুমুল হাসি হৈ হুল্লোড়। ফ্রেন্ডশিপ বেন্ড বা রাখি পরিয়ে দেয়ার আয়োজনও এখন চোখে পড়ে। ঘনিষ্ট বন্ধুরা একজন অন্যজনের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়।

বন্ধু দিবসে ফেসবুক, টুইটারের আলোচনাটাও কম জরুরী নয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে, বলা চলে, সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয় দিবসটি। টাইমলাইনে ঘুরে ফিরেই আসবে বন্ধুতার সাতকাহন। বন্ধুদের সঙ্গে নতুন-পুরনো ছবি পোস্ট করা হবে। শুভেচ্ছা জানানো হবে। একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। এভাবে নানা অনুভব অনুভূতি থেকে, ভাবনা থেকে বন্ধুতার সম্পর্কটিকে সামনে আনা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top