সকল মেনু

গণগ্রেফতার আতঙ্কে জনশূন্য গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চল

05-590x307হটনিউজ২৪বিডি.কম : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার পরেই শুরু হয় দেশব্যাপী জঙ্গি বিরোধী অভিযান। এরপর আর চাপ কমেনি গাইবান্ধায়। রাজধানীর গুলশান ও শোলাকিয়া ঈদগাহে হামলার পর সাঁড়াশি অভিযানের নামে গাইবান্ধায় চলছে গ্রেফতার বাণিজ্য।

গত দেড় মাসে ১৫০০ বেশি সাধারণ মানুষ গণগ্রেফতারের শিকার হয়েছেন গাইবন্ধায়। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে হাজারেরও বেশি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাদ্রাসা, মসজিদ-মক্তবে নজরদারি ও নিরাপত্তার নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গণগ্রেফতার করছে। যেন মোটা অঙ্কের বাণিজ্যে নেমেছে পুলিশ।

র‌্যাব-১৩ ও গাইবান্ধা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে জেলার সাঘাটা-ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
পুলিশ জানায়, দুর্গম চর খোলাবাড়ি, খঞ্চাবাড়ি, বাগবাড়ি ও গাবগাছিতে জঙ্গি আস্তানার খবরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে ১১৭ জনের একটি দল অভিযান চালায়। যদিও সেখানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মেলেনি।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, জেলার সাদুল্যাপুর, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়, সাঘাটা-ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে নিয়মিত পুলিশী অভিযান চলছে। যেসব অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা চরাঞ্চলবাসী আত্মরক্ষার্তে ব্যবহার করে থাকে। গণগ্রেফতারের ভয় এখন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উদোরপিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে সরকার। জঙ্গিবাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের সন্তানরা জড়িত বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশ পাচ্ছে। মাদ্রাসা কিংবা নর্থ-সাউথের শিক্ষার্থী শুধু বিএনপি-জামায়াতের নয়। এছাড়া জঙ্গিবাদ জাতীয় সমস্যা। সেটাকে জাতীয়ভাবে মোকাবেলার না করে কৌশলগতভাবে বিএনপি-জামায়াতকেই বরং হয়রানি করছে সরকার।

এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান চালানো হয়েছে। সন্দেহভাজন এলাকায় অভিযান চলছে। এছাড়া পুরাতন মামলার পলাতক আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। তবে গণগ্রেফতার ও হয়রানির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top