সকল মেনু

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গেলো বাংলাদেশের ওষুধ

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি শুরু হয়েছে। বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম চালান হিসেবে দেশটিতে হাইপারটেনশনের ওষুধ কার্ভোডিলল পাঠিয়েছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ইউ এস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইউএসএফডিএ) এর কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছিল কোম্পানিটি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পকে বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়। বছরে এই খাত থেকে ২০ কোটি ডলার আয় হয় বাংলাদেশের। বিশ্বে ওষুধের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি শুরু হওয়ায় এই আয় বগুগুণ বৃদ্ধির আশা করছেন এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।  কারণ, এখন ইউরোপসহ উন্নত দেশে ওষুধ রপ্তানি সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স বার্নিকাট উপস্থিত রয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ শিল্পও আমাদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। পোশাক খাতের পর এই খাতকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে ধরা হচ্ছে।’ ওষুধের বাজার বৃদ্ধিতে সরকার যথাযথ সহায়তা দেবে জানিয়ে ওষুধের মানের দিকে নজর দিতে উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমাদের গণমাধ্যম সব সময় নেতিবাচক সংবাদ বেশি করে প্রচার করে। আজ তো আমার মনে হয় এই সংবাদটি ফলাও করে প্রচার করা উচিত। এটি আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।’

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছি। এটা আমাদের জন্য শুধু নয়, দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ওষুধের জন্য একটি বড় বাজার। যেখানে ওষুধ রপ্তানির জন্য আমরা সুযোগ তৈরি করতে পেরিছি। আমাদের বিশ্বাস, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের ওষুধের শক্তিশালী বাজার তৈরি করতে পারবো।’

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট বলেন, ‘সাম্প্রতিক নানা নেতিবাচক খবরের মধ্যে এটি একটি ভালো সংবাদ। একটি সফল অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এই অগ্রগতির সঙ্গে রয়েছে।’

এর আগে বেক্সিমকোর ওষুধ কারখানা ঘুরে দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top