সকল মেনু

ভোলায় দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

indexএম. শরীফ হোসাইন, ভোলা: ভোলায় চতুর্থ দিনের মত মেঘনার পানি বিপদসীার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে জেলার ৫টি উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছের লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। একই সাথে দেখা দিয়েছে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ-বালাই। তবে দুর্গত এসব এলাকায় ৯২টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ঔষধ। দুর্গত এলাকায় এখনও পৌছায়নি ত্রাণ। বুধবার বিকেল ও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ভোলা সদরের ইলিশা, রাজাপুর, তজুমদ্দিনের চাঁদপুর, চরফ্যাশনের মাদ্রাজ, নজরুল নগর, কুকরী-মুকরী, ঢালচর, চর পাতিলা, দৌলতখানের  হাজিপুর, মেদুয়া, নেয়ামতপুর, লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ও মনপুরা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়। এসব এলাকার বসত-ঘর, পুকুর, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয় যায়। পানির কারণে দুর্গত এলাকার মানুষের ঘরে রান্না-বান্না চলছে না, জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করেই ৪দিন ধরে তাদের দিন কাটছে। একের পর এক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দুর্গত এলাকায় কোন ত্রাণ সুমগ্রী পৌছায়নি বলে অভিযোগ বন্যা কবলিতদের। ভোলা সদরে রাজাপুর ইউনিয়নর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জোয়ারের পানিতে চতুর্থ দিনের মত পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে।

পানির হাত থেকে রক্ষা পেতে অধিকাংশ মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। চুলো তলিয়ে যাওয়ায় কেউ রান্না করতে পারছেন না, তবে কেউ কেউ আবার সুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ আবার আত্মীয়দের বাড়ি থেকে খাবার সংগ্রহ করছেন। বন্যা কবলিত নাসরিত বেগম, মোমতাজ, রাবেয়া ও কহিনুর বলেন, বন্যায় ঘরভীটা ডুবে গেছে, ৪দিন ধরে রান্নার চুলো জ্বলে না, আমাদের খবর কেউ নেয়না।
তাসলিমা ও রেহানা বলেন, পানির কারণে ডায়রিয়া, জ্বরসহ পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে, আমাদের আশয়ের কোন ঠিকানা নেই। ভোলার জেলা প্রশাসক মো: সেলিম উদ্দিন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ৮ মেট্রিক টন চাল ও ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে এসব ত্রান বিতরণ করা হয়। ভোলার সিভিল সার্জন ডা: ফরিদ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, এছাড়াও পর্যপ্ত ঔষধ মজুদ রয়েছে।ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বলেন, মেঘনার পানি ৩ দশমিক ৮৭ মিটার উচ্চতায় ছিলো যা বিপদসমীর ০.৪১ বেশী। এতে নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, সদরের ইলিশা ও রাজাপুরে প্রায় ৭শ’ মিটার এলাকায় নতুন করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top