সকল মেনু

যৌতুকের কারণে নববধুকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ

images (14)রংপুর অফিস:হাতে মেহেদীর রং না শুকাতেই যৌতুকের বলি হলেন জেসমিন আক্তার নামের এক গৃহবধু। যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামীসহ শ্বশুর-শ্বাশুড়ী নির্যাতনের পর গলা টিপে হত্যা করে এবং ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তেয়ানী মনিরাম গ্রামে। পুলিশ মঙ্গলবার ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার তেয়ানী মনিরাম গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের আতোয়ার রহমানের মেয়ে জেসমিন আক্তারের ছয় মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের বাবা জামাতাকে ৩০ হাজার টাকা যৌতুকও দেন। কিন্তু জেসমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন এতে সন্তুষ্ট ছিলনা। এ কারণে জেসমিনকে প্রায়ই তার স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর নির্যাতন সহ্য করতে হতো। শেষ পর্যন্ত দু’মাস আগে নববধু জেসমিনকে এক লাখ টাকা যৌতুক আনতে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার রাতে টাকা ছাড়াই ফিরে এলে স্বামী রুবেল মিয়া, শ্বশুর আব্দুর রশিদ ও শ্বাশুড়ী জরি বেগম তাকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার জন্য গলাটিপে ধরে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে শয়ন ঘরে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে পীরগাছা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর পলাতক রয়েছে।

গৃহবধু জেসমিনের বাবা আতোয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা করা হবে।

এব্যাপারে পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিক মিয়া জানান, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top