সকল মেনু

গুলশানের বাড়িতে মওদুদের থাকা অবৈধ: অ্যাটর্নি জেনারেল

indexগুলশানে বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের ভাইয়ের নামে নামজারি করতে হাইকোর্টের আদেশ দিয়েছিলেন, সে আদেশের বিরুদ্ধে রাজউকের আপিল মঞ্জুর করে আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগ। এ রায়ের পর এখন ওই বাড়িতে মওদুদ আহমদের থাকাকে ‘অবৈধ দখলদার’ হিসেরায় দিয়েছেন বে আখ্যায়িত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, এ রায়ের আলোকে রাজউক ও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এ ছাড়া মওদুদ আহমদ ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলাটি বাতিল করেন আপিল বিভাগ।

আজ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় মৌলিক ত্রুটির কারণে এর কার্যক্রম বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।

দুদকের মামলাটি বাতিলের বিষয়ে আদালত প্রাঙ্গণে মওদুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলশানের এ বাড়িসংক্রান্ত মামলা উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য অপেক্ষাধীন ছিল। তারপরও দুদক একই বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে। আদালত আজ দুদকের করা এ মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছে।’

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তিনি। বিরোধী দলের নেতা না হলে সরকার এ বিষয়ে আপিল করত না। রাজউকের আপিল মঞ্জুর করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন বলে জানান।

দুদকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, গুলশানের ওই বাড়ির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। একপর্যায়ে ওই বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের স্ত্রীর নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর ওই বাড়ি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মওদুদ আহমদ তাঁর ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন।

এ অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশীদ ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মওদুদ আহমদ ও মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২৬ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশীদ আদালতে মওদুদ আহমদ ও মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতের বিচারক শুনানি শেষে অভিযোগপত্র আমলে নেন। অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান মওদুদ।

২০১৫ সালের ২৩ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে করা এই মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারিক আদালতের আদেশ বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে চেম্বার আদালতে যান মওদুদ। ১৬ আগস্ট চেম্বার আদালত মওদুদের আবেদনের ওপর কোনো আদেশ না দিয়ে তা আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ওপর আজ শুনানি শেষে আদালত মামলার কার্যক্রম বাতিল বলে ঘোষণা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top