সকল মেনু

শাজনীন হত্যা : শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ৪ জনকে খালাস

naznin_24710হটনিউজ২৪বিডি.কম : দেড় যুগ আগে ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানকে হত্যার দায়ে হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়া ৫ আসামির মধ্যে একজনের সাজা বহাল রেখে ৪ জনকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল ও জেল আপিলের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেয়।
চূড়ান্ত রায়ে আসামিদের মধ্যে কেবল শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। আর খালাস পেয়েছেন সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন।
২০০৩ সালে বিচারিক আদালত এ মামলায় মোট ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৬ সালে হাইকোর্ট ৫ জনের সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রেখে একজনকে খালাস দেয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল মোবিন জানান, আপিল বিভাগ যাদের রায় দিয়েছে তাদের ৫ জনই কারাগারে আছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, লতিফুর রহমানের মেয়ে স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমান ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজের বাড়িতে খুন হন। এ মামলায় ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কার কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসানসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

অপর ৫ আসামি হলেন- গৃহ পরিচারক শহীদুল ইসলাম (শহীদ), হাসানের সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন ও কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।

আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) ওই বছরই হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে। ফাঁসির আদেশ পাওয়া অপর আসামি শনিরাম মণ্ডল খালাস পান।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা চার আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল এই চার আসামির লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর আসামি শহীদুল জেল আপিল করেন। ৭ বছর পর ২৯ মার্চ আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়ে ১১ মে শেষ হয়। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শনিরাম মণ্ডলের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে তা খারিজ হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top