সকল মেনু

সদরপুরে আলীম হত্যাকান্ড , হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে ফায়দা লোটার অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

সদরপুর উপজেলার পিঁয়াজখালী গ্রামে আলীম খান –
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পিঁয়াজখালী গ্রামে আলীম খান হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষ জনপ্রতিনিধি ওমর ফারুক ব্যাপরী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঢেউখালি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মামলার ১নং আসামী ওমর ফারুক ব্যাপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন আমার স্বামী ফারুক চেয়ারম্যান সদরপুর উপজেলায় ছিল না। সে ফরিদপুর জেলা সদরে ব্যক্তি কাজে ব্যস্ত ছিল। আলীমের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি এলাকায় ছুটে আসেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আলীমের পরিবারের সাথে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র দীর্ঘ ধরে আমাদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। আলীম খুন হওয়ার পর উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমার স্বামী ও দেবরসহ আমাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি হয়রানি মূলক মামলা করে অযথা ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে আলীমের পরিবার। এতে করে মূল হত্যাকারীর পার পেয়ে যাবে।
হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃতদোষী চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তিনি।

ওই গ্রামের লিলি বেগম নামের এক নারী বলেন, আলীমকে এলাকার মানুষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেই চিনে। সন্ত্রাসীদের সাথে তার সক্ষতা ও মাদক বিক্রিসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীর সাথে দ্বন্দও ছিল তার। লিলিরমতো ওই এলাকার অনেকের মতেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোন জের ধরেই হত্যা হয়ে থাকতে পারে আলীম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, নিহত আলীমের লাশ দিগম্বর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার ব্যবহৃত রক্তমাখা লুঙ্গি ও সেন্ডেল সাবেক চেয়ারম্যান দুদু মিয়ার চাচাতো ভাই সাকা ব্যাপারীর বাড়ি থেকেও উদ্ধার করা হয় বলে তারা দাবি করে। সাকা ব্যাপারীই আলীমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলেও সূত্রগুলো জানায়।

অপরদিকে দুদু মিয়ার ভাই ফারুক ব্যাপারী এই মামলার আসামী না হলেও হত্যা কান্ডের পর থেকেই রহস্যজনক কারণে পলাতক রয়েছেন। যা নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে নিহত আলীম খানের স্ত্রী মুঞ্জুরী বেগম বলেন, ওই দিন (২৪ জুলাই) রাতে গ্রামের সাকা ব্যাপারী নামের একজন আলীমকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে ফিরে না আশায় দুঃশ্চিন্তায় রাত কাটে। পরের দিন সকালে গ্রামের ভূবেনেশ্বর নদে তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।

মঞ্জুরী অভিযোগ করেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও গ্রামের গরদার ঘাটের ডাকের টাকা পয়সা নিয়ে আসামীদের সাথে দ্বন্দ চলছিল। অনেকবার তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে তারা। সে অনুযায়ী আলীমের ভাই শিশু খান বাদী হয়ে থানায় মামলা  করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরপুর থানার এসআই সোহলে মোল্যা বলেন, এরই মধ্যে মামলার তিন আসামী লাবলু হোসেন, সাইদ মাতুব্বর ও কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠ^ানো হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top