সকল মেনু

জঙ্গিবাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যা : প্রধানমন্ত্রী

hasina11-290x181হটনিউজ২৪বিডি.কম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। তাই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কখনই এদেশে প্রতিষ্ঠা পাবে না।

বুধবার জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনির প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। বিকেলে সাড়ে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যসূচি শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত। এদেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই স্বাধীনতা বিরোধী এ চক্রের অব্যাহত ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তাদের পেট্রোল বোমার আঘাতে কোলের শিশুও রেহাই পায়নি, যা এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে জামায়াত আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিজেদেরকে সংগঠিত করার সুযোগ পেয়েছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও তারা আধিপত্য বিস্তার করেছে। ফলে তাদের মতাদর্শ অনুসরণকারী কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে সুযোগ পেলেই সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায়।

সংসদ নেতা বলেন, ‘মূলত বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। তারা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি জঙ্গিবাদী ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট সরকার গঠন করে এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। ফলে এদেশের ধর্মভীরু ও শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তায় জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি। পেট্রোল বোমা মেরে, হরতাল করে ও অবরোধ করে সরকারের বিরুদ্ধে কোন সফলতা না পাওয়ায় তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে নিরাপরাধ বিদেশী নাগরিকদের টার্গেট করে হত্যা করে। পাশাপাশি একই সঙ্গে ব্লগার, প্রকাশক, প্রগতিশীল লেখকদের হত্যার মাধ্যমে পুনরায় এদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটানোর অপতৎপরতা শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রোস্তোরাঁয় জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত ঘটনা এদেশের ইতিহাসে এক ঘৃণ্যতম কাজ। যদিও জঙ্গিবাদ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশ তার বাইরে নয়।’

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এক বিরল দৃষ্টান্ত। জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস কখনোই এদেশে প্রতিষ্ঠা পাবে না। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদেরকে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করতে পারে- এমন সব বিষয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে কি না তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একথা সত্য যে, বিএনপি-জামায়াত জোটের সৃষ্ট এরূপ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মানুষ হত্যার ঘটনা বাংলাদেশ টেলিভিশন, সকল ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও প্রিন্টমিডিয়া জাতির সামনে তুলে ধরে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করছে এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top