সকল মেনু

দেশে প্রথম উৎপাদন হবে বিশ্ব মানের এলপি গ্যাস সিলিন্ডার

ঢাকা : ইরানের সহায়তায় দেশে প্রথমবারের মতো লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের ট্যাংক এবং বিভিন্ন ধরনের  গৃহস্থলি ও যানবাহনে ব্যবহৃত সিলিন্ডার উৎপাদন করতে যাচ্ছে স্টার ইনফাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্টকনসোরটিয়ামলিমিটেড।এ লক্ষে ২৫ জুলাই সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলইরানের সারভিগাস কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কোম্পানিটি। অনুষ্ঠানের আয়োজনকরে দেশে ব্যবসায়ীদেরশীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অবকমার্স অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।চুক্তি স্বাক্ষরঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের সভাপতিত্বে আরওউপস্থিত ছিলেনই রানেররাষ্ট্রদূত ড. আব্বাসভায়েজি, এনার্জি রেগুলেটরিকমিশনের চেয়ারম্যান এ আরখান, ইরানের সারভিগাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়াররাবিই ও স্টার ইনফাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কনসোরটিয়ামলিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরআলি।অনুষ্ঠানে মাতলুব আহমাদ বলেন, বর্তমানে দেশে ৬টি কোম্পানি এলপিগ্যাস উৎপাদন করছে। আগামীতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও ৬০টির মতো কোম্পানি এলপিজি উৎপাদনে আসছে। এসব কোম্পানিকেএলপিজিসরঞ্জাম অর্থাৎএলপিজিসিলিন্ডার, এলপিজিইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টোরেজ ট্যাঙ্ক, গৃহস্থলি ও যানবাহনে ব্যবহৃত সিলিন্ডার উৎপাদন ও সরবরাহ করবে। পাশাপাশি সিলিন্ডার ট্যাঙ্ক বহনের জন্য বড় আকারের বুলেটট্রাকও আমদানি করা হবে।তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ১২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে কোম্পানি দুটি যৌথভাবেউৎপাদনে আসবে। আগামী ১ বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন মাতলুব। মাতলুব বলেন, আন্তর্জাতি কমানেরসিলিন্ডার উৎপাদনে মাধ্যমে দেশের মানুষকে আরও কম খরচে গ্যাস সরবরাহ করার লক্ষে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।কারখানা কোথায় স্থাপিত হবে সেটি এখনোনির্দিষ্ট নাহলেও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও, কিশোরগঞ্জ ও মংলাকে সম্ভব্য স্থান হিসেবে বিবেচনায় রাখাহয়েছে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top