সকল মেনু

রফতানিযোগ্য পণ্যের মান ঠিক রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

shak-hasina_22126হটনিউজ২৪বিডি.কম : রফতানিযোগ্য পণ্যের মান ঠিক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে দেখি ইউরোপীয় ইউনিয়নে চিংড়ি রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। চিংড়ির মধ্যে লোহা দিয়ে ওজন ভারী করা হতো। আমরা ক্ষমতায় এসে চিংড়ির উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উন্নতির জন্য ৪০ কোটি টাকা দিয়। এখন আবার চিংড়ি রফতানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, পণ্য রফতানি করে আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে। আমরা যেকোনো জিনিসই বিদেশে রফতানি করি না কেন, তা যেন মানসম্মত হয়। সামান্য মুনাফা করতে গিয়ে দেশের ক্ষতি যেন না হয়। দাম বেশি নেন কিন্তু পণ্যটা যেন খাঁটি থাকে। গুণগত মান ধরে রাখুন। এতে ব্যবসায়ীদেরই লাভ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা মৎস্য সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। কৃষিজ আয়ের প্রায় ২৪ ভাগ আসে এ খাত থেকে। জিডিপিতে মৎস্যসম্পদের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ যোগান দেয় মৎস্য খাত।

এসব কথা চিন্তা করে আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ নদী-নালা, হাওর-বিল আছে তাতে আমরা মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ নয়, প্রথম স্থান অর্জন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কথায় আছে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। আমরা যেখানেই যাই, যতো কিছুই খাই, শেষ পর্যন্ত মাছ-ভাত না খেলে আত্মতৃপ্তি আসে না। সুতরাং আমরা যারা মাছ খাই তারা নিজেরা খাবো, যারা খেতে পারে না, তাদেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করব।

দেশে মৎস্য খাতে অনন্য অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে ২০ জন মৎস্যচাষিকে পুরস্কৃত করা হয়। এদের মধ্যে পাঁচজনকে দেয়া হয় স্বর্ণপদক এবং ১৫ জনকে দেয়া হয় রৌপ্য পদক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top