সকল মেনু

নোয়াখালীতে বিছিন্ন ঘটনা ভাংচুরের মধ্যদিয়ে জামাতের হরতাল পালন

Noakhli News 2 picকামাল হোসেনমসুদ, নোয়াখালী:জামতের সাবেক প্রধান গোলাম আজম’র ৭১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল বিছিন্ন ভাবে মিছিল, গাড়ী, ব্যাংক ভাংচুর মধ্যদিয়ে নোয়াখালীতে জামায়াতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে।

গোলাম আযমের রায়ের পর পরই জামাত শিবিরের নেতাকর্মিরা জেলা শহরে জটিকা মিছিল বের করে মাইজদি উত্তরা ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের সামনের গ্লাস ও একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে পুলিশ, আর্মড পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা পালিয়ে যায় এবং পুলিশ একজনকে আটক করে।

সোমবার সকালে দত্তের হাট, চৌমুহনী, সেনবাগ ও কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় জামায়াত-শিবিক কর্মিরা মিছিল করে। দত্তের হাট এলাকায় সকালে মিছিল করতে গেলে পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ মিছিল কারি একজনকে আটক করে। সকালে বেগমগঞ্জ এলাকার জমিদার হাটে একটি প্রাইভেট কারের গ্লাস ভাংচুর ও সেনবাগের ছমির মুন্সির হাট এলাকায় একটি মোটর সাইকেল ও একটি পাওয়ার টিলারের হেড লাইট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুরে ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, হাসপাতাল রোর্ডে ১টি পিকআপ, ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ১টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের খবর পাওয়া যায়। অপর দিকে মিছিল ও পিকেটিং অবস্থায় পুলিশ জেলার দত্তের হাট, ভুলু স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ৯জনকে আটক করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতালের সমর্থনে ভোর থেকে জেলা শহর মাইজদী, দত্তের হাট, কোম্পানীগঞ্জ, চৌমুহনী, সেনবাগ এলাকায় জামাত-শিবির মিছিল বের করে।

সোমবার সকালে দত্তের হাট এলাকায় পিকেটিং করা অবস্থায় ২ শিবির কর্মিকে আটক করে। বেলা ১১টার দিকে দত্তের হাট ও ভুলু স্টেডিয়াম এলাকায় মিছিল করে জামাত-শিবির নেতা কর্মিরা। এ সময় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও বিজিবি তাদের ধাওয়া করে ৬জনকে আটক করে। গোলাম আযমের রায় ঘোষণার পর দুপুরে জামাত-শিবিরের নেতাকর্মিরা শহরে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে এবং জিলা স্কুলের সামনে উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংকের সামনের গ্লাস ও একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান পিপিএম হটনিউজকে জানান, জেলা শহর দত্তের হাট, ভুলু স্টেডিয়াম ও জিলা স্কুলের সামনে মিছিল ও পিকেটিং এর সময় ৯জনকে আটক করা হয়েছে। দু-একটি স্থানে জামাত-শিবির ঝটিকা মিছিল করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া নাশকতা এড়াতে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। তাছাড়া রাস্তায় ইট ফেলে চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে পুলিশ তা সরিয়ে ফেলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top