সকল মেনু

‘জঙ্গী হামলা বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে না’

pm-press-single_21523হটনিউজ২৪বিডি.কম : গুলশানে হামলা জাপান সরকারের প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ, ৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়করণের ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক জঙ্গী হামলা বাংলাদেশের উন্নয়নে কোন প্রভাব ফেলবে না। তিনি বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে সহযোগিতায় কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না। আজ রবিবার বিকেল ৪ টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ১১তম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেম শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে মঙ্গোলিয়ায় ৩ দিনের সরকারি সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। সম্মেলনে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের মদদদাতাদের খুঁজে বের করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটরে অনুষ্ঠিত এশিয়া-ইউরোপ মিটিংয়ে (আসেম) অংশ নিয়ে আমি জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির কথা বিশ্বনেতাদের জানিয়েছি। তিনি বলেন, বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি যেন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে মদতদাতা, অর্থদাতা ও প্রশিক্ষণদাতাদের খুঁজে বের করা হয়।

মঙ্গোলিয়া সফরকালে আসেম সম্মেলনের সাইডলাইনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে আলাদা আলাদা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, জার্মান চ্যান্সেলর নারীদের শিক্ষার প্রসারে বাংলাদেশ অগ্রসরে প্রশংসা করেন। আমি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রন জানিয়েছি। তিনি বলেন, এসব বৈঠকে আমি বিশ্ব নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করি প্রয়োজন হলে বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রের সহযোগিতা নেয়া হবে।

বাংলাদেশের নেতা বলেন, আসেম শীর্ষ সম্মেলনে ফ্রান্সে হামলায় নিহতদের শান্তি কামনা করেছি। এ হামলায় নিহতদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, তুরস্কের জনগণ অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রমাণ করেছে জনগণই শক্তি। বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে আলোকপাত করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি মন্দা মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এভাবে প্রচার করা আমাদের দেশ থেকেই কি বেশি হয় না?

প্রধানমন্ত্রী জানান, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটরে অনুষ্ঠিত এশিয়া-ইউরোপ মিটিংয়ে (আসেম) অংশ নিয়ে তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূল খুঁজে বের করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আসেমে অংশ নিয়ে আমি জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা বিশ্বনেতাদের জানিয়েছি। কেবল তাই নয়, বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে মদতদাতা, অর্থদাতা ও প্রশিক্ষণদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে।
প্রসঙ্গ দুদিনব্যাপী ১১তম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম ১১, সম্মেলন) মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোর-এর সাংগ্রি-লা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল- আসেম-এর ২০ বছর : যোগাযোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের অংশীদারিত্ব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top