সকল মেনু

অভ্যুত্থানকারীদের ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে – এরদোয়ান

indexআন্তর্জাতিক ডেস্ক,হটনিউজ২৪বিডি.কম : তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টাকারী অভিযোগে ২ হাজার ৮০০ সেনাসদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রক্তাক্ত এই অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

অভ্যুত্থান চেষ্টাকালীন আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আশ্রয় নেন এরদোয়ান। সেখান থেকে তিনি বলেছেন, অভ্যুত্থানকারীদের ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে।

এ ঘটনায় ১০৪ জন অভ্যুত্থান চেষ্টাকারী নিহত হয়েছেন। অভ্যুত্থান প্রতিরোধকারী ও বেসামরিক লোক মিলে আড়াই শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন বলে ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ। তবে হতাহতের এ সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে।

অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত এক সেনা সদস্যের ওপর জনতার আক্রমণ

এদিকে গ্রিসের পুলিশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি সামরিক হেলিকপ্টারযোগে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন আটজন অভ্যুত্থানকারী গ্রিসে পৌঁছেছেন। তারা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তবে তাদের তুরস্ক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য গ্রিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান টুইটার বার্তায় তার সমর্থকদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন কোনো ঘটনা প্রতিরোধে তিনি জনগণকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, যা-ই হোক আমাদের রাজপথে থাকা উচিত। যেকোনো সময় যা কিছু ঘটে যেতে পারে।

সেনাবাহিনীর দলছুট অংশ নিজেদের শান্তি পরিষদ (পিস কাউন্সিল) হিসেবে দাবি করেছে। তাদের ভাষ্য, এরদোয়ানের একে পার্টির হাত থেকে দেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় তারা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। এর আগে ক্ষমতাসীন একে পার্টির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বর্বর দমন-পীড়নের অভিযোগ করে আসছিল।

এ অভ্যুত্থান চেষ্টার জন্য হেফতুল্লাহ গুলেন এক ধর্মীয় নেতাকে দায়ী করেছেন এরদোয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিভানিয়ায় স্বেচ্ছায় নির্বাসিত গুলেনের বিরুদ্ধে তুরস্কে অশান্তি সৃষ্টির জন্য এর আগেও অনেক বার অভিযোগ তোলে সরকার। কিন্তু গুলেন তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয় গুলেনকে।

বিদ্রোহী সেনাসদস্যরা অভ্যুত্থান শুরু করার পর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সাহায্যে জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জনগণকে রাস্তায় নেমে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ রাস্তায় নামে। ভিডিও ফুটেজ এবং ছবিতে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ বিদ্রোহী সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

তুরস্ক সরকারের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সরকারপন্থি অংশ বিদ্রোহীদের পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ‘অভ্যুত্থান চেষ্টা শেষ’ বলে দাবি করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top