সকল মেনু

যৌতুক লোভী স্বামী-শ্বাশুড়ীর নির্যাতনে গৃহবধু হাসপাতালে

mkiমোঃ মাহফুজ আলম মুনী, নাটোর থেকে :নাটোরে যৌতুক লোভীস্বামী ও শ্বাশুড়ীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সীমা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধু। রোববার রাতে স্বামী ও শাশুরী তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছে। নিযার্তনের পর রাতেই তিন মাসের শিশু কন্যা সহ সীমাকে বাড়ি থেকে টেনে-হেঁচরে বের করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে নির্যাতিত ওই গৃহবধুকে তার বাবা মা উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এলাকাবাসী জানায়, নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী কেশবপুর গ্রামের দিনমজুর ফজর আলীর মেয়ে সীমা খাতুনের সাথে তিন বছর আগে শহরের বৈদ্যবেলঘরিয়া এলাকার হায়দার মাষ্টারের ছেলে জোহা-বিন হায়দারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বর পক্ষের দাবীতে নগদ ৭০ হাজার টাকা যৌতুকও দেওয়া হয়। এর পরে আরো টাকা দাবী করে প্রায়ই স্ত্রী সীমার ওপর নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী। কয়েক দফা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এনিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিসের পরেও নির্যাতন অব্যাহত থাকে। সীমার বাবা ফজের আলী জানান, রোববার রাতে তার জামাতা জোহা-বিন হায়দার ও তার মা বাঁশের লাঠি দিয়ে সীমাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে। নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে তার মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে রাতেই স্বামী সহ তার পরিবারের লোকজন সীমাকে টেনে-হেঁচরে তিন মাসের শিশু সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দিলে প্রতিবেশী এক আত্মীয় তাদের বাড়িতে আশ্রয় দেন। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ওই আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সীমাকে নিয়ে এসে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাটোর থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি নিয়েছে। এব্যাপারে ভিকটিমের বাবাকে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা শোনার পর পরই স্বামী জোহাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top