সকল মেনু

৮জুন মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী (অব:) প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

indexহটনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের পথিকৃৎ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী (অব:) গত বছর এই দিনে ইন্তেকাল করেছেন ।

তিনি গত বছর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী এসময় তিনি রেখে গেছেন।

মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী’র ছোট ছেলে ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার বাবাকে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, আমজাদ খান চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর নাটোর জেলার সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে। তার পিতা মরহুম আলী কাশেম খান চৌধুরী, মাতা মরহুমা আমাতুর রহমান। তার ৪ সন্তানেরা হলেন- আজার খান চৌধুরী, ডা. সেরা হক, আহসান খান চৌধুরী এবং উজমা চৌধুরী। ঢাকার নবকুমার ইন্সস্টিটিউট থেকে তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহন করেন। বহুগুণে গুণান্বিত আমজাদ খান চৌধুরী বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যিক সংগঠন যেমন- মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী (এমসিসিআই), ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ (ডিইসি), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড (আইডিসিওএল), বাংলাদেশ ডেইরী অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি, পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া তিনি রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা), আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন্স এডুকেশন প্রোগ্রাম (ইউসেপ) প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

দেশের অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি দেশের বেসরকারী সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের বহুমূখী ব্যবহার এবং এ শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে তিনি অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমধিক পরিচিত। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার অবদান অনুকরণীয়। আর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার প্রচেষ্টা দেশের ব্যবসায় ক্ষেত্রে এনে দিয়েছে ব্যাপক সমৃদ্ধি এবং নান্দনিক ঔজ্জ্বল্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top