সকল মেনু

ইবিতে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ কাজ

top_87342013-07-01_1372659865কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া থেকে:কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ কাজ চলতি মাসেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলায় তা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের কারণে হলটিকে এ মাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তাস্তর করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি থাকলে ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যেত। আর এই হলটি নির্মিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২৪৮জন ছাত্রী আবাসন সুবিধা পাবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সঙ্কটের কিছুটা উত্তোরণ ঘটবে ও ক্যাম্পাস অনেকটা প্রাণ চঞ্চল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ১৪ এপ্রিল তৎকালীন শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো: আলাউদ্দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নতুন আবাসিক হল নির্মাণের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। এই হলটি নির্মাণ বাবদ বর্তমান সরকারের সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ১১.১৪ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়। এতে প্রথম পর্যায়ে হলটির ১টি বক, ডাইনিং রুম, স্পোর্টস রুম, লাইব্রেরী, বাউন্ডারি, হলের ভিতরের রাস্তা ও গেটের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার কথা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টেন্ডার ড্রপ করে হল নির্মাণের কাজ বণ্ঠন করেন কঊঘওঔঠ ফার্ম এর মেসার্স নুরুল ইসলামের কাছে এবং ২ বছরের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে সকল প্রশাসনিক কর্মকান্ড শেষে ২ আগস্ট ২০১১ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্ট মাসের ২ তারিখের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার কথা। প্রথম পর্যায়ে অনেক ভালভাবে কাজও চলছিল। এরই মধ্যে হলটির ১টি বক, বাউন্ডারি, ডাইনিং রুম, গেস্ট রুম, স্পোর্টস রুমের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। কিন্তু শেষের দিকে এসে প্রশাসনের কতিপয় কর্তাব্যক্তি ও প্রকৌশল অফিসের অবহেলায় নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রায় হলটির নির্মাণ কাজ বন্ধের পিছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কঊঘওঔঠ ফার্ম এর মেসার্স নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রকৌশল অফিসের সঠিক তদারকির অভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই হলের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, চলতি মাসেই সকল নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের অবহেলায় তা সম্ভব হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে এবং হলটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট হস্তাস্তর করতে পারবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি কনস্ট্রাকশন ওয়ার্ক আমরা যথাযথভাবে নিয়মকানুন অনুসারে কাজ করছি। এছাড়া নির্মাণ কাজের যেসব প্রসিডিউরগুলো মেন্টেন করতে হয় সেগুলো করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করতে পারেন নি। এদিকে শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২৪৮ জন ছাত্রী আবাসন সুবিধা পাবে। এই হলের নির্মাণাধীন ১ম বকে শিক্ষার্থীদের জন্য ৬২ টি কক্ষ রয়েছে। এর প্রত্যেকটি কক্ষে ৪ জন করে ছাত্রী থাকতে পারবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য আবাসন সঙ্কটের অনেকটা দূরীভূত হবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘‘হল নির্মাণ কাজ কেন থেমে আছে সে বিষয়ে জেনে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে যা যা করণীয় তা করবো।’’উলেখ্য, শেখ হাসিনা হলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top