সকল মেনু

ফাইনালে মাঠে নামছে আরামবাগ-আবাহনী

6-26-290x163খেলা ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : ১৯৯৭ সালে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলেছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। সেবার আবাহনীর কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হার মেনেছিল আরামবাগ। এরপর অবশ্য আরো একবার ফাইনাল খেলেছিল তারা। সেটা অবশ্য ২০০১ সালে। সেবারও শিরোপা বঞ্চিত হয় অফিস পাড়ার দলটি।

১৫ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে আরামবাগ। সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ওয়ার্ল্ড। চলতি ধারাবিবরণী শোনা যাবে বাংলাদেশ বেতারে। এই ম্যাচে আরামবাগ জয় পেলে ১৯৯৭ সালের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। আর হেরে গেলে একই নাটকের পুনর্মঞ্চায়ন হবে।

আরামবাগ জিতলে এটা হবে ক্লাবটির ইতিহাসে ফেডারেশন কাপের প্রথম শিরোপা। আর আবাহনী জিতলে এটা হবে তাদের নবম শিরোপা।

ফাইনালের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোববার উপস্থিত হন দুই দলের কোচ, অধিনায়ক ও কর্মকর্তাগণ। উভয় দলই অবশ্য শিরোপা জেতার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

আরামবাগের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘যে দল ফাইনালে আসে তারা অবশ্য শিরোপা জেতার জন্যই মাঠে নামে। আমাদের ক্ষেত্রে এটার ব্যতিক্রম নয়। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়ার মনমানসিকতাই আমাদের খেলোয়াড়দের ভালো খেলার রহস্য। ফাইনালকে সামনে রেখে ছেলেরা বেশ মোটিভেটেড। তবে আবাহনী বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দল। তাদের দলে বেশ কিছু ভালো বিদেশী ও দেশী খেলোয়াড় রয়েছে। তাদের একজন ভালো কোচও রয়েছেন। আবাহনীর সামর্থ্য ও যোগ্যতা সম্পর্কে আমরা অবগত। সে অনুসারেই মাঠে আমরা পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করব।’
আবাহনীর কোচ জর্জ কোটান বলেন, ‘গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হারলেও পরবর্তীতে আস্তে আস্তে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফাইনালে উঠেছে। এখান থেকে আমরা আর পেছন ফিরে তাকাতে চাই না। শিরোপা জয়ের জন্যই ছেলেরা মাঠে নামবে। লি টাক ও তপু বর্মন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছে। ছেলেরা তাদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে। আমাদের প্রস্তুতিও ভালো। আশা করছি আগামীকাল ভালো কিছুই হবে।’

আরামবাগের অধিনায়ক মিতুল হাসান বলেন, ‘কোচ ও ক্লাবের সকল কর্মকর্তাগণ আমাদের বেশ উৎসাহিত করেছেন। কোচ আমাদের বলেছেন মেন্টালি শক্ত থাকলে অনেক কিছু করা যায়। আমরা সেভাবেই খেলে এসেছি। ফাইনালকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুত। আমরা জেতার জন্যই মাঠে নামব।’

আবাহনীর খেলোয়াড় আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটা আমরা হেরেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে ভালো খেলে ফাইনালে এসেছি। আমাদের সব খেলোয়াড়রা ফিট আছেন। আমরা সবাই ফাইনাল খেলতে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত।’

ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন দল ৫ লাখ ও রানার্স-আপ দল ৩ লাখ টাকা প্রাইজমানি পাবে। এছাড়াও টুর্নামেন্টে ফেয়ার প্লে দলকে ট্রফি প্রদান করা হবে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা উভয়কে ২৫ হাজার টাকা ও ওয়ানটনের পক্ষ থেকে এলইডি টিভি দিয়ে উৎসাহিত করা হবে। এ ছাড়া ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়কে হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top