সকল মেনু

মেট্রোরেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন

Hasi-3-290x181হটনিউজ২৪বিডি.কম : রোববার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) জন্য গাজীপুরে বাস ডিপো নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে। ২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এরই মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে বাস্তবায়ন।

এরই মধ্যে ডিপো উন্নয়নের কাজও শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল রুট-১ ও রুট-৫ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে জাইকা। প্রকল্পের আটটি প্যাকেজের মধ্যে ছয়টির দরপত্র আহ্বান কাজ শেষ হয়েছে। একটি প্যাকেজের চূড়ান্ত চুক্তি সই হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। নির্মাণ ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা প্রকল্প সাহায্য দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

মেট্রোরেলের রুট হবে সম্পূর্ণ এলিভেটেড (ওপর দিয়ে)। থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে এ রুটে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, মেট্রোরেল রুট-৬ এর পাশাপাশি আরো দুটি রুট নির্মাণের প্রস্তুতিও এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মেট্রোরেল রুট-১ হচ্ছে গাজীপুর থেকে ঝিলমিল প্রকল্প পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রথম পর্যায়ে এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর এবং খিলক্ষেত থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটারের কাজ করা হবে। এর মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার হবে মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড)।

অপরদিকে মহানগরীর পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ বাড়াতে চূড়ান্ত করা হয়েছে মেট্রোরেল-৫-এর রুট। এ রুটটি নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে গাবতলী পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রাথমিক পর্যায়ে ভাটারা থেকে গাবতলী-হেমায়েতপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার কাজ করা হবে। এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার হবে মাটির নিচে।

টঙ্গী ও উত্তরার সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত সহজতর করতে বিআরটি রুট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিআরটি একটি উন্নতমানের বাসভিত্তিক গণপরিবহন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে যাত্রীরা কম সময়ে, নিরাপদে ও আরামদায়কভাবে যাতায়াত করতে পারবে। বিআরটি ব্যবস্থায় সংরক্ষিত লেনে উন্নত যাত্রী সেবার লক্ষ্য নিয়ে বাস চলাচল করবে।

এরই মধ্যে বিআরটির প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ হয়েছে। বাস্তবায়ন কাজও শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি গাজীপুর টার্মিনাল থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। বিআরটি রুটে থাকবে ২৫টি স্টেশন, নির্মাণ করা হবে ছয়টি ফ্লাইওভার। উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার থাকবে এলিভেটেড (ওপর দিয়ে) বিআরটি লেন। ১৬ কিলোমিটার থাকবে সমতল বা এট গ্রেড। ১৮ মিটার দীর্ঘ ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করবে এ পথে। বাসগুলোয় ভাড়া আদায়ে থাকবে ইলেক্ট্রনিক স্মার্ট কার্ড।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেড। এটি বাস্তবায়নে প্রায় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যার অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা এবং গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাসিলিটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top