নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরায় আলাউদ্দিন টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভবনের লিফট ছিঁড়ে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। আগুনে ও লিফট ছিঁড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ।ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী ও তিন পুরুষের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের চেহারা চেনা যাচ্ছে না। তারা লিফটের ভেতর ছিল।
হাসপাতাল সূত্র জানান, রাত ৮টার কিছু সময় পর বাবা মাহমুদুল হাসান (৩৬), মেয়ে মাইশা (১১) ও ছেলে মোত্তাকিমকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের বাসা উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে। তারা মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ডে বসে ইফতার করছিলেন। এ সময় মাহমুদুল হাসান তার দুই সন্তানকে নিয়ে বের হতে গেলে আগুনে দগ্ধ হন। বাবা ও ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল। এ ছাড়া মামুন (২৪) নামের আরো একজন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সোয়া ৬টার দিকে আলাউদ্দিন টাওয়ারের দোতলার লিফট হঠাৎ বিকট শব্দে নিচে পড়লে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মার্কেটে অবস্থানরত ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। বিস্ফোরণে ভবনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট, পরে আরো নয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলায়।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মাহমুদুল হাসান বলেন, নারীসহ চারজন মারা গেছেন। তবে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’
মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে মার্কেটের ভেতর অনেকেই আটকা পড়েন। এ সময় অনেকে দগ্ধ হন। আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ভেতরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় অনেককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হয়। এ সব মানুষজনের বেশিরভাগই এসেছিলেন ঈদের মার্কেট করতে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।