সকল মেনু

আজ ১৮ রোজা : ঢাকায় ইফতার ৬.৫৩ ও সেহরি শেষ ৩.৪০

ramadhan0_17493হটনিউজ২৪বিডি.কম : আজ শুক্রবার, পবিত্র মাহে রমজানের ১৮ দিন এবং তৃতীয় জুম’আ। মাগফেরাতের সময়ও শেষ হতে চলছে। রমজানের মাঝামাঝি দিনগুলো হলো মাগফেরাতের। এ দিনগুলোতে মানুষের প্রবৃত্তিকে নষ্ট করে, যা অনেক পাপ সংঘটিত থেকে মানুষকে বিরত রাখতে সহায়তা করে। ইমাম শাফেয়ি (র.) বলেন, রাসূলুল্ল¬াহ সাল্লাল্ল¬াহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করে তার উম্মতের জন্য উত্তম কাজ হলো রমজান মাসে তারা বেশি করে দান-সদকা করবে। কারণ এ মাসে মানুষের প্রয়োজন বেশি থাকে। অন্যদিকে রমজান হলো জিহাদের মাস। তাই প্রত্যেকের উচিত অর্থ সম্পদ দান করার মাধ্যমে জিহাদে অংশ নেয়া।

আমরা আমাদের পাপের জ্বালানি দিয়ে যে অগ্নি প্রজ্বলিত করি, আমাদের কবরব্যাপী ৭ সমুদ্রের সব পানি ঢেলে দিয়েও সে আগুন নেভানো সম্ভব নয়। এক মুহূর্তের জন্যও নয়। হজরত রাসূলে কারীম সাল্ল¬াল্ল¬াহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- দুটি ফোঁটা ব্যতীত অন্য কিছু জাহান্নামের আগুন নেভাতে পারে না। একটি হলো আল্ল¬াহর পথে জিহাদের সময় মুজাহিদের শরীর থেকে বাহিত রক্তের ফোঁটা; আরেকটি হলো আল্ল¬াহর ভয়ে প্রবাহিত বান্দার চোখের পানির ফোঁটা।
অন্য একটি হাদিসে আছে, বিখ্যাত সাহাবি হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একবার আমি হজরত রাসূলে কারীম সাল্ল¬াল্ল¬াহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাক্ষাৎ করে আরজ করলাম- হে রাসূল! (পাপ থেকে) মুক্তির উপায় কী? তিনি ইরশাদ করলেন- ১. তুমি তোমার জিহ্বাটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখ, ২. সর্বদা ঘরে থাকতে চেষ্টা কর আর ৩. নিজের পাপের কথা স্মরণ করে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি কর।

সুতরাং পাপ মোচনের জন্য নিজের অন্যায় অপরাধের কথা স্মরণ করে অনুতপ্ত মনে অশ্রু সজল নয়নে মহান মালিকের দরবারে কান্না প্লাবিত প্রার্থনার সময় হচ্ছে এই ক্ষমার দশক! কারণ হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেছেন, হজরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্ল¬াহু আলাইহি ওয়াসাল্ল¬াম ইরশাদ করেছেন- বান্দা যদি নিজের পাপের কথা স্বীকার করে আল্লাহর কাছে তওবা করে তাহলে আল্লাহ তাআ’লা তার তওবা অবশ্যই কবুল করবেন।

আমরা সাধারণত দুভাবে পাপ করি। কখনও গোপনে, কখনও প্রকাশ্যে। তওবাকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে গোপন পাপকে গোপনেই স্বীকার করে নিয়ে তওবা করতে হবে আর প্রকাশ্য পাপকে স্বীকার করতে হবে প্রকাশ্যেই। এ মর্মে একটি হাদিসে আছে, হজরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্ল¬াহু আলাইহি ওয়াসাল্ল¬ামের নিকট একবার হজরত মু’আয (রা.) এই বলে আবেদন করেন, ইয়া রাসূলুল¬াহ! আমাকে কিছু উপ১ে০দিন।

তখন রাসূল (সা:) ইরশাদ করেন- তুমি তোমার সাধ্যমতো আল্লাহকে ভয় করবে। প্রতিটি পাথর ও বৃক্ষের কাছেই (অর্থাৎ সর্বদাই) আল্লাহকে স্মরণ করবে। যদি কোনো পাপ করে বস, নতুন করে তওবা করবে। গোপন পাপের তওবা গোপনে আর প্রকাশ্য পাপের তওবা প্রকাশ্যে। এটাই তওবার গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। ক্ষমা ও মাগফিরাতের অবারিত সময় আমাদের তওবা হোক এ গ্রহণযোগ্য নিয়মেই। হে করুণাময়, তুমি আমাদের সে তাওফিকই দাও! আমিন!!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top