সকল মেনু

পার্বতীপুরে স্বামীকে বেধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

isরাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কালিকাপুর সর্দারপাড়া গ্রামে এক দিনমজুরের স্ত্রী (২৬) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে গত ১৪ জুন সংঘটিত হলেও প্রতিকুল পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সময়মত মামলা করতে পারেননি। গণধর্ষণের শিকার হলেও পুলিশের পরামর্শে ওই নারী বাদী হয়ে গত বুধবার পার্বতীপুর মডেল থানায় সন্ধ্যায় ধর্ষণের চেষ্টা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই গ্রামের ৪ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। এরা হলেন, সামসুল হকের ছেলে দুলাল হোসেন ওরফে ছোট বাবু (২৬), জবেদ আলীর ছেলে আবু (৩০), মাজেদ আলীর ছেলে বিল্লাল (২৬) ও মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে আজিজার (৩৮)।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী জানান, তার কোন ভিটে মাটি নেই। দিনমজুরী করে ও ভ্যান চালিয়ে তাদের সংসার চলে। ৫/৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অনেক কষ্টে জমানো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা লাভের আশায় ৪ মাস আগে পাশের গ্রাম চাকলাপাড়ার (হিন্দুপাড়া) দারি চন্দ্রের ছেলে নরেশ চন্দ্রকে কর্জ দেন। লাভ আসল মিলে তা ৫ হাজার টাকায় দাড়িয়েছে। গত কিছুদিন ধরে ওই পাওনা টাকা তোলার জন্য স্বামী-স্ত্রী পালাক্রমে নরেশ চন্দ্রের বাড়ীতে ধরনা দিচ্ছিলেন। গত ১৪ জুন ইফতারের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে টাকা তোলার নরেশ চন্দ্রের বাড়ীতে যান। কিন্তু এসময় নরেশ চন্দ্র বাড়ীতে না থাকায় তার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু নরেশ চন্দ্র ফিরে না আসায় আনুমানিক রাত ৮টার দিকে রওনা হন। পথে কালিকাপুর সর্দারপাড়া গ্রামের মজমুল হকের ভূট্টা খেতের পাশের কাচা রাস্তায় পৌছিলে অভিযুক্ত দুলাল হোসেন ওরফে ছোট বাবু (২৬), আবু (৩০),বিল্লাল (২৬) ও আজিজার (৩৮) আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে তাদেরকে আটক করে। এসময় অভিযুক্তরা কাপড় দিয়ে স্বামীর হাত-পা বেধে পাশের জমিতে ফেলে রাখে ও তার স্ত্রীকে ভূট্টা খেতের ভিতরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনার কথা প্রকাশ না করার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। প্রকাশ করলে তোমাদের গ্রাম ছাড়া করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তের স্বামী দাবী করেন- ধর্ষকদের কড়া পাহারা ও হুমকির মুখে সময়মত মামলা করা সম্ভব হয়নি।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম বলেন, গণধর্ষণ নয়, ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে এবং সে ভাবেই মামলা হয়েছে। পুলিশ তাদেরকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করা জন্য কোন চাপ দেয়া হয়নি। এসআই আঃ মোমিন কে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে। তবে থানার অন্য একটি সূত্র জানায়, এসআই আঃ মোমিন বর্তমানে প্রশিক্ষণে রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top