সকল মেনু

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে যা যা করার দরকার করবো: প্রধানমন্ত্রী

PM-ne-290x160হটনিউজ২৪বিডি.কম : সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে যা যা করার দরকার বাংলাদেশ তাই করবে বলে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এবং ওআইসিকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্প্রতি সৌদি আরব সফরের সময় এসব জানিয়েছেন বলে সংসদকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (২২ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এরআগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবসময় আমাদের একটা সন্ত্রাস বিরোধী ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে, সেজন্য ইতোমধ্যে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। কোনো মতেই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবো না বলে ইতোমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, মুসলিমকে উম্মাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এ আহ্বানটা আমি সব সময়ই করে থাকি। আমি মুসলিম উম্মাতে যত বার গেছি এ প্রশ্নটা সব সময় তুলেছি।

তিনি বলেন, সৌদি আরব একটা উদ্যোগ নিয়েছে, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমন করার জন্য জোট করেছে। সেই জোটে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে এবং প্রায় ৪০টি দেশ যুক্ত হওয়ার ফলে আজকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগে বাংলাদেশও আছে।

জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য যা যা করার সেটা বাংলাদেশ করবে। সৌদি বাদশাকেও জানিয়েছি, অন্যান্য মুসিলম দেশকেও জানিয়েছি এবং আমরা এব্যাপারে খুব দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজকে যেসমস্ত ঘটনা ঘটছে, এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে। ইসলাম শান্তি ধর্ম, এ শান্তির ধর্মের সম্মান যেন আরো উচ্চতায় নিতে পারি, সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চান, সাবেক ধর্মমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরবে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে তাকে দেশে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন কি না?

এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম অনেক অপরাধী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে এবং বাংলাদেশ সব সময় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, ওয়ারেন্ট রয়েছে তাদের ফিরিয়ে এনে সাজা দেওয়া এটা বাংলাদেশের কর্তব্য। যে ভদ্রলোকের নাম উনি বললেন নিশ্চই এব্যপারে খোঁজ নেওয়া হবে কোথায় আছে। আমাদের পররাষ্ট্র ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে যাতে, এ আসামিকে ধরে নিয়ে এসে সাজা দেওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top