সকল মেনু

বাইসাইকেল রপ্তানি: ১১ মাসে আয় ৭১৮ কোটি টাকা

epg-290x181হটনিউজ২৪বিডি.কম : চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) ৭১৮ কোটি টাকার বাইসাইকেল রপ্তানি করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এবার রপ্তানি আয় কমেছে ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এই সময়ে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫২ কোটি টাকা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের প্রকৌশল শিল্পজাত পণ্য রপ্তানিতে বাইসাইকেলের অবদান ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৫৬ কোটি টাকার সাইকেল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানি ছিল ১ হাজার ৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসে বেশির ভাগ বাইসাইকেল রপ্তানি হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে উৎপাদিত বাইসাইকেল মূলত যুক্তরাজ্য, জার্মানি, হল্যান্ড, ইতালি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল ও কানাডায় রপ্তানি হয়। প্রতি মাসে দেশ থেকে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি টাকার সাইকেল রপ্তানি হচ্ছে।

দেশের উৎপাদিত বাইসাইকেল ইউরোপের দেশগুলোতে বিক্রি হলেও দেশের বাজার এখনো আমদানিনির্ভর।

বর্তমানে ফ্রিস্টাইল, মাউন্টেন ট্র্যাকিং, ফ্লোডিং, চপার, রোড রেসিং, টেন্ডমেড ধরনের বাইসাইকেল রপ্তানি হচ্ছে। এসব সাইকেলের কিছু যন্ত্রাংশ আমদানি করা হলেও বেশির ভাগ যন্ত্রাংশই দেশে তৈরি হচ্ছে। বিশেষত চাকা, টিউব, হুইল, প্যাডেল, হাতল, বিয়ারিং, আসন তৈরি করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ বাইসাইকেল মার্চেন্টস অ্যাসেম্বলিং অ্যান্ড ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নুরুল হক বলেন, খুচরা বাজারে দেশের সাইকেলের চেয়ে বিদেশি পণ্যের চাহিদা বেশি। সাইকেলের পার্টস আমদানি করা হচ্ছে। এরপর সংযোজন করে পূর্ণাঙ্গ সাইকেল হিসেবে বাজারে যাচ্ছে। সাধারণত ভারত ও চীন থেকে এসব পার্টস আমদানি হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top