সকল মেনু

তনুর ২য় ময়না তদন্তে যৌনতার আলামত : মৃত্যুর কারণ অস্পষ্ট

tanu-killing_15171হটনিউজ২৪বিডি.কম : বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মৃত্যুর পূর্বে যৌন সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী দল। তবে এবারের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ অস্পষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা তদন্ত সংস্থাকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে, পারিপার্শ্বিক প্রমাণ বিবেচনা করে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে হবে। নিহত তনুর বহুল আলোচিত দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন রবিবার সকালে প্রদান করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা এটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে করা তনুর কাপড় ও শরীরের ডিএনএ প্রতিবেদন দেয়া না-দেয়া নিয়ে সিআইডি ও ফরেনসিক বিভাগের মধ্যে চলেছিল নানা নাটকীয়তা।

প্রসঙ্গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয় সোহাগী জাহার তনুর মরদেহ। এ ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ২১ মার্চ প্রথম ময়ানাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্ট দেয় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয় এবং আদালতের নির্দেশেই তনুর পরিহিত কাপড়চোপড়সহ ৭টি বিষয়ের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফরেনসিক বিভাগের কর্মচারী ফারুক আহমেদ সিলগালা করা একটি খাম নিয়ে কুমিল্লা পুলিশ ভবনে অবস্থিত সিআইডি কার্যালয়ে গিয়ে দিয়ে আসেন। এটি গ্রহণ করেন সিআইডির এএসআই মোশাররফ হোসেন। আদালতের নির্দেশে গত ৭ জুন দুপুর সাড়ে ১২টায় তনুর শরীর ও কাপড়ের ডিএনএ প্রতিবেদন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের কাছে হস্তান্তর করে সিআইডি।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তনুর মৃত্যু পূর্বে ‘এভিডেন্স অব সেক্সচ্যুয়াল ইন্টারকোর্স’ হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে অধিকতর তদন্তে ‘সারকামসট্যান্স এভিডেন্স’ বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি জানান, তনুর মৃত্যুর ১০ দিন পর পুনরায় ময়নাতদন্ত হয়েছে, এ সময়ে তার মরদেহ পচাগলা ছিল। এ কারণে এ মৃতদেহে নতুন করে আঘাত বোঝা সম্ভব হয়নি।

৩ সদস্যের ময়নাতদন্ত দলের অপর সদস্য ডা. ওমর ফারুক জানান, মৃত্যুর কত পূর্বে ‘সেক্সচ্যুয়াল ইন্টারকোর্স’ হয়েছে তা জানা যায়নি। এর আগে গত ১৬ মে সিআইডির পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান জানিয়েছিলেন, তনুর পরনের কাপড় পরীক্ষা করে তাতে ৩ জন পুরুষের বীর্য পাওয়া যায়। এ থেকে ৩ জন পুরুষের পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top