সকল মেনু

পান্ডে হত্যায় গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতন

 7a732c7f-9bdd-4464-b0c5-2b1498ba25adগৌরাঙ্গ লাল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: পাবনায় ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমের ঋত্বিক নিত্য রঞ্জন পান্ডে খুনের ঘটনায় তার গোপালগঞ্জের আড়ুয়া কংশুর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।স্ত্রী দুলু রানী ,ছেলে নন্দ দুলাল, কন্যা নন্দিতা, সন্দিপা পান্ডে ও স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। শোকাবহ পরিকেশের মধ্যেই পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা নিত্য রঞ্জন পান্ডের খুনীদের খুঁজে বের করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার কাকা ডাকা ভোরে নিত্য রঞ্জন পান্ডের হত্যার খরব তার গ্রামে পৌঁছালেই শোকরে ছায়া নেমে আসে। শোকার্ত গ্রামবাসী সৎ, নিরীহ,ধর্মপরায়ন নিত্য রঞ্জনের নির্মম হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারছেনা। তার এ হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিত্য রঞ্জনের বড় ভাই অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সত্য রঞ্জন পান্ডে বলেন, আমারা ছোট ভাই নিত্য রঞ্জন ইন্টার মিডেয়েট পাশ করার পর বিএ পড়ার সময় প্রতিবেশি ডা. জ্যোতিন্দ্র নাথ বালার মেয়ে দুলুকে বিয়ে করে। তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিলো না। নিত্য বিয়ের পর সংসার চালতেই হিমিশিম খেত। এ অবস্থায় নিত্যর শ্বশুর পাবনা সৎসঙ্গের ঋত্বিক ছিলেন। তিনিই জামাইকে ৪০ বছর আগে পাবনা নিয়ে যান। সেখানে নিত্য প্রথম অফিসে কাজ করতো। তারপর সে ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের আদর্শ প্রচার শুরু করে। এক পর্যায়ে সে ঋত্বিক হন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে নিত্য ঠাকুর আনুসারীদের দীক্ষা দিত। ধান পাট, বাদাম ঘরে তুলতে ও ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে বছরে ৩/৪ বার গ্রামের বাড়িতে আসত। ১০/১৫ দিন থেকে আবার চলে যেত।
আড়ুয়া কংশুর গ্রামের শ্যামল কান্তি বলেন, নিত্য রঞ্জন বছরে ৩/৪ বার বাড়িতে আসতেন। তিনি ধর্ম আচরন করতেন। সৎ জীবন যাপন করতেন। তিনি নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলে। গ্রামের মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করতেন। সৎ জীবন যাপন করতেই তিনি বিয়ের পর শ্বশুরের হাত ধরে পাবনা হেমায়েতপুর ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমে যোগ দেন। তিনি সেখানই কাজ করতেন। তার হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমাদের গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
নিত্য রঞ্জনের শোকার্ত স্ত্রী দুলু রানী পান্ডে বলেন, গত রাতে আমার সাথে তার ফোনে কথা হয়েছে। সবার কথা জিজ্ঞাসা করেছে। ৪/৫ দিনের মধ্যে সে বাড়ি আসতে চেয়েছিলে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার মৃত্যু সংবাদ পাই। আমার স্বামীকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। আমাদের নিরাপত্তা চাই।
নিত্য রঞ্জনের ছেলে স্কুল শিক্ষক নন্দ দুলাল, মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সন্দিপা পান্ডে বলেন, নিরীহ পিতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে আমদের পিতৃহীন করা হয়েছে। সম্প্রতিকালে এভাবে হত্যাকান্ড চালিয়ে সন্ত্রাসীরা মায়ের বুক, সন্তানের আশ্রয়, পিতার কোল খালি করছে। আমাদের মতো ওই সব পরিবারেও নেমে আসছে হতাশা, শোকের ছায়া ও অনিশ্চয়তা। আমরা সম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া সব হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। আর যেন কোন পবিরাকে এ সহিংসতার শিকার হতে না হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top