সকল মেনু

পেট্রোল বোমার মতো টার্গেট কিলিংও শেষ হবে : সেলিম

salim_14764হটনিউজ২৪বিডি.কম : আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার টার্গেট কিলিং মিশন কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তিনি বলেন, টার্গেট কিলিং শেষ হয়ে যাবে। পেট্রোল বোমা মারা শেষ হয়েছে। এটাও শেষ হয়ে যাবে। একটু সময় দেন। আমরা এটা কঠোর হস্তে দমন করবো। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির বৈঠকে একথা বলেন। ঘোষণাপত্র উপকমিটির আহ্বায়ক শেখ সেলিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহাবুবুল হক শাকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘সরকারের নির্দেশেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে’ খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, ‘হ্যাঁ আমাদের সরকারকে বিব্রত করার জন্য আমরাই তো টার্গেট কিলিং করছি? ওই প্রেটোল বোমা মারার সময়ও খালেদা বলেছিল, এসব সরকার করছে। তারপর তারা ধরা খাওয়ার পর দেখা গেল হয় তারা ছাত্রদল, না হয় জামায়াত-শিবির আর না হয় জেএমবি। খালেদা জিয়া তাদের প্রকেটশন দেয়ার জন্যই এখন এসব কথা বলছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, সন্ত্রাসীদের যদি কেউ গডফাদার হয়ে থাকে তাহলে সেটা খালেদা জিয়াই। এদেশে যত অঘটন ঘটছে, যত হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে এগুলো বিএনপি-জামায়াতই করছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড থেকে আজ এই পর্যন্ত। তিনি বলেন, আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না। আমরা জনগণের রাজনীতি করি। অপরাধী যেই হোক, আমরা এদের ধরছি এবং ধরবো। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।

পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, কিছু কিছু লোককে হত্যা করা হয়েছে। হয়ত এতে ক্ষণিকের জন্য মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেজন্য আমরা দুঃখিত। যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সরকার এটাকে কঠোরভাবে দমন করার অভিযান চালাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশ করার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, জয় যখন বৈঠক নিয়ে বিবিসিকে চ্যালেঞ্জ করল, তখন বিবিসি থমকে গিয়েছে। তখন তারা তদন্ত করে দেখে, খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এখন যখন বিবিসি দুঃখ প্রকাশ করেছে। সুতরাং মানুষের মধ্যে যে বিভ্রান্ত হয়েছিল, সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল। আর আসলে অপরাধী কারা, সেটা প্রকাশ পেল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top