সকল মেনু

পার্বতীপুরে রমযানের উপহার

ef712fb7-97b9-46c9-badf-a8582bed437fরাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর,দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। কসাইরা সিন্ডিকেট করে মাংসের দাম বৃদ্ধি করেছে বলে সাধারন ক্রেতাদের অভিযোগ। ১০/১৫ দিন আগে গরু মাংস কেনা-বেচা হতো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধি যৌত্তিক কোন কারন ব্যাখ্যা করতে পারেনি বিক্রেতারা। এদিকে দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা গরুর মাংস কিনতে পারছে না। স্থানীয় ভোক্তারা বলছেন গ্রামীন হাট বাজারগুলোতে বাজার মনিটরিং না থাকায় কসাইরা তাদের ইচ্ছেমত দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। তারা ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার না করে দাঁড়িপাল্লার ওজনে মাংস বিক্রি করছেন। মাংস বিক্রিতে রয়েছে ওজনের মারপ্যাচ। এর ফলে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারন ভোক্তারা। অভিযোগ ওঠেছে, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু যবাই করা হয় না। পশুর দেহে পৌর স্বাস্থ্য পরিদর্শকের সীল থাকেনা অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এছাড়া প্রাণী সম্পদ অফিসারকে অবহিত না করে হরহামেশাই রোগাক্রান্ত গরু যবাই করা হয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে পার্বতীপুর পৌরসভার নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস বেচা কেনা হচ্ছে ৪০০ টাকায়। কসাইরা বলছেন, রমজান মাসে গরুর মাংসের দাম আরো বাড়বে। গত এক মাস আগে পার্বতীপুর নতুন বাজার থেকে শুরু করে গ্রামের হাট বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বেচাকেনা হতো সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা কেজি। ক্রেতা রামপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলজার আলী বলেন, আমি ছোট গেরস্থ। হাতে টাকা না থাকায় দীর্ঘদিন গরুর মাংস কিনতে পারিনি। এছাড়াও ধানের দাম না থাকায় প্রয়োজনীয় কোন খরচাদি করতে পারিনি। বাড়ীতে মেহমান আসায় বাধ্য হয়ে মাংস কিনতে এসেছি। ভ্যান চালক রমজান আলী বলেন, গরুর গোস্ত (মাংস) কেনা হামার দারা হবার নায়। খাওয়াও হবার নায়। এ্যালা গরুর গোস্তের দাম (মাংসের) ৪০০ টাকা কেজি। সারাদিন ভ্যান চালে যে কামাই হয়, হারা কোনঠে থাকি গোস্ত কিনে খামো বাহে।
নতুন বাজারের মাংস বিক্রেতা ও কসাই আরিফ হোসেন ও মানিক জানান, গত ১৫ দিন আগে যে গরু ৩০ হাজার টাকায় কিন ছিলাম সেই একই ধরনের গরু এখন ৩৮ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এছাড়া চামড়ার কোন দাম নাই। ৩৮ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হয় মাত্র ১ হাজার ৫শ টাকা।নতুন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, আমরা কোন সিন্ডিকেট করি নাই। রমজান মাস রোজাদার মানুষ ভাল ভাল খায়। সে কারনে বাজারে গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের রেটে আর মাংস বিক্রি করে পোষায় না। পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং সেল বা কমিটি আছে। রমজানে মনিটরিং কমিটি তদারকির কাজ করবে। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের বর্তমান বাজার মূল্যে পণ্য সামগ্রীর তালিকা লটকানোর জন্য বলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top