সকল মেনু

‘বাংলাদেশ-ভারতের অবকাঠামোগত দুর্বলতা অপসারণ করতে হবে’

agartola_13715হটনিউজ২৪বিডি.কম : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিদ্যমান বাণিজ্যিক অবকাঠামোগত দুর্বলতা অপসারণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শনিবার তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অনুষ্ঠিত ইনভেস্ট ত্রিপুরা শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে স্থল বন্দরগুলোতে আধুনিক লজিস্টিক ও গুদাম সুবিধা গড়ে তোলার পাশাপাশি ম্যানুয়াল কাস্টমস কার্যক্রমের পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারেন্স পদ্ধতি চালু করতে হবে। বন্দর সংলগ্ন স্থানে মান সম্পর্কিত পরীক্ষাগার স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তার অজুহাতে পণ্য পরীক্ষণের নামে অযথা সময়ক্ষেপণের প্রবণতা পরিহার করার তিনি পরামর্শ দেন। এসোসিটেড চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া এ সম্মেলন আয়োজন করে। ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের উন্নয়ন বিসয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং, ত্রিপুর রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তীসহ ভারতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ ভারতের আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক মাঝারি ও ভারি শিল্পের অংশীদার হতে ইচ্ছুক। শিল্পায়নে ভারতীয় ব্যবসায়ী সমাজ এগিয়ে এলে দু’দেশের মাঝে বিরাজমান বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা ধীরে ধীরে কমে আসবে। তিনি ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পণ্যের গুণ ও মানসম্পর্কিত অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, সমন্বিত আন্তঃসীমানা ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং প্যারাট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা পরিহারের জন্য দু’দেশের পক্ষ থেকেই আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ এবং ভারতের অন্যান্য দেশের সাথে কার্যকর কানেকটিভিটি জোরদারে বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে নতুন সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন/ল্যান্ড পোর্ট স্থাপন ও পুরাতনগুলো পুনরায় চালু হচ্ছে। ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং বাংলাদেমের আখাউড়া ও ভারতের আগরতলার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ চলছে। এছাড়া রামগড়-সাব্রুম এবং দিমাগিরি-তেগামুখ বর্ডার পয়েন্টের উন্নয়ন কাজও এগিয়ে চলছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (সাফটা) কার্যকর হলে, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের উৎপাদিত পণ্য ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপানসহ অধিকাংশ উন্নত দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বর্তমানে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা একশ’ ভাগ ইকুইটি ওনারশিপ ভোগ করছে এবং তাবা মুনাফার শতভাগ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারছেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ১শ’টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তুলছে। পাশাপাশি সড়ক, মহাসড়ক, বন্দরসহ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ, সফটওয়্যার নির্মাণ, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, জাহাজ নির্মাণ, হিমায়িত মৎস্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধ, প্লাস্টিক, ফার্নিচার, হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য, পর্যটন ও বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং, অটোমোবাইল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মহাকাশ গবেষণাসহ উদীয়মান খাতগুলোতে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মন্তব্য করেন আমু। এ বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দু’দেশের শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top