সকল মেনু

ভোটের আগের রাতে কোথাও সিল মারার ঘটনা ঘটেনি

kazi_rokibuddin1465044992 নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ও শেষ ধাপে ভোটের আগের রাতে কোথাও সিল মারার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

ষষ্ঠ ধাপে সারাদেশে ৬৯৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন শেষে শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই দাবি করেন।

কাজী রকিবউদ্দিীন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে শুধু একটি ইউপিতে আগের রাতে সিল মারার ঘটনা ঘটলেও এবার তাও হয়নি। আমরা ষষ্ঠ ধাপে ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা বন্ধ করতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল এবারের নির্বাচনে সময় মতো ব্যালট পেপার বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া। নির্বাচনে কিছু কিছু ইউনিয়ন রয়েছে, যেখানে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর কাজ খুব কষ্টের ছিল। কিন্তু তারা যথাসময়ে পৌঁছে দিতে পেরেছেন।

সিইসি জানান, এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ৩৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগে ছয় ধাপে এখন পর্যন্ত ৫০০ জনকে ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা ইউপি নির্বাচন ৬ ধাপে করেছি। ৬ ধাপেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচন তৃণমূল ও বড় নির্বাচন। তাই প্রথম দিকে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতা এবং অনিয়ম প্রতিরোধে সমাজে সংস্কার আনতে হবে। এ জন্য সামাজিক দায়িত্বও আছে। তারা সব ধাপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

সিইসি বলেন, কিছু কিছু কেন্দ্রে অনিয়ম ও সংঘাত ঘটেছে এবং প্রাণহানিও হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। নির্বাচনী সংঘর্ষে নিহতদের জন্য কমিশন গভীর শোক প্রকাশ করছে। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top