সকল মেনু

ভাঙতেই হবে বিজিএমইএ ভবন

bgmea_13326হটনিউজ২৪বিডি.কম : হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় গড়ে ওঠা তৈরি পোশাক শিল্প ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় ভাঙার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আইনজীবীরা জানান, এই রায়ের ফলে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আইনগত আর কোনো বাধা থাকল না।
হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে জলাধার রক্ষা আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বহুতল ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেয়। ২ বছর পর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। তার শুনানি নিয়ে আবেদনটি খারিজ করল আপিল বিভাগ, যার মধ্য দিয়ে হাইকোর্টের ওই রায় বহাল রইল।

এই মামলায় হাইকোর্টে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে থাকা আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ হওয়ায় ভবনটি ভাঙতে এখন আর কোনো আইনগত বাধা নেই।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, বিজিএমইএ ভবনটি সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। এ ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট না করা হলে এটি শুধু হাতিরঝিল প্রকল্পই নয়, সমস্ত ঢাকা শহরকে সংক্রামিত করবে।

বিজিএমইএ যাদের কাছে ওই ভবনের ফ্ল্যাট বা অংশ বিক্রি করেছে, দাবি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাদের টাকা ফেরত দিতেও নির্দেশ দেয় আদালত।
রায়ে বলা হয়, ক্রেতাদের সঙ্গে ওই চুক্তি ছিল বেআইনি। কারণ, ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ বা কোনো অংশ কারো কাছে বিক্রির কোনো অধিকার বিজিএমইএর ছিল না।

তবে ক্রেতারা যেহেতু নিজেরাও জানত বা তাদের জানা উচিত ছিল যে, এ জমির ওপর বিজিএমইএর কোনো মালিকানা নেই এবং ভবনটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সুতরাং তারা কোনো ইন্টারেস্ট পাওয়ার দাবিদার নয়।

আর্থিক পেশিশক্তির অধিকারী বলে শক্তিশালী একটি মহলকে ‘আইনের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে’ এমন যুক্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও রায়ে বলা হয়। একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে বিজিএমইএর আইনের প্রতি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। তারা তা না করে আইনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে।

বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন হাতিরঝিল থেকে এই ভবনটি অপসারণ করতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top